ফের সীমান্তে দাদাগির শুরু করল চিন। ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করেছে এই বিরূপ প্রতিবেশী দেশ। এমনকী, অন্যান্য অঞ্চলের পাশাপাশি ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং আকসাই চিনকে নিজেদের সরকারি মানচিত্রে পর্যন্ত জুড়ে দিয়েছে চিন। সেই মানচিত্র প্রকাশের পরই যথারীতি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। কূটনৈতিক মাধ্যমে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে মঙ্গলবার জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেছেন, 'আমরা আজ কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে চিনের তথাকথিত ২০২৩ সালের স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ-এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। ভারতের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডকে চিন নিজেদের বলে দাবি করেছে। আমরা এই দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, তার কোনও ভিত্তি নেই। চিনের এই ধরনের পদক্ষেপ কেবল ভারত-চিন, দুই দেশের সীমানা নিয়ে সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে।'
এর আগে চিনের নতুন মানচিত্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি চিনের দাবিকে 'অযৌক্তিক' বলে জানান। বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'চীন অতীতেও এমন মানচিত্র প্রকাশ করেছে। সেই সব মানচিত্রে দাবি করা অঞ্চলগুলো চিনের নয়, অন্যান্য দেশের। এটা তাদের পুরনো অভ্যাস। এটা নতুন কিছু নয়। এটা চিন ১৯৫০-এর দশকে শুরু করেছিল। আমাদের অঞ্চলগুলো কী, তা আমরা খুব স্পষ্টভাবেই জানি। আমাদের ভূখণ্ড রক্ষা করার জন্য আমাদের কী প্রয়োজন, সে সম্পর্কে এই সরকারের ধারণাও খুব স্পষ্ট। আমি মনে করি, এটা নিয়ে কোনও সন্দেহই থাকা উচিত নয়। অযৌক্তিক দাবি করলেই অন্যের জমি নিজের হয়ে যায় না।'
আরও পড়ুন- বদলির জন্য আধিকারিকরা ঘুষ দিচ্ছেন, তোলাবাজির অংশ দিচ্ছেন মন্ত্রী-বিধায়করা, কাঠগড়ায় সিদ্দা-পুত্র
চিন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সীমানা অঙ্কন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে চিন তার চলতি বছরের মানচিত্র প্রকাশ করেছে বলে দাবি করেছে। সেই প্রদর্শিত মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশকে দেখানো হয়েছে দক্ষিণ তিব্বত বলে। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে চিন আকসাই চিন দখল করেছিল। সেই অঞ্চলকেও ম্যাপে নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন। ম্যাপে তারা তাইওয়ানকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। যেটিকে চিন তার ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করেছে। যদিও তাইওয়ান দ্বীপটি নিজেকে একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবেই দেখে। পাশাপাশি, দক্ষিণ চিন সাগরের একটি বড় অংশও নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন।