ভারত এবং কানাডার মধ্যে চলমান বিরোধের মধ্যে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ মেটাতে কূটনীতির সুযোগ রয়েছে’। এর পাশাপাশি তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব এবং সংবেদনশীলতা একতরফা হতে পারে না’। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেছেন যে খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার পিছনে ভারতের হাত রয়েছে। ট্রুডোর এই অভিযোগের জেরে ভারত ও কানাডার সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়ে।
জয়শঙ্কর একটি ইভেন্টে ভাষণ দেওয়া সময় কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে বলেছেন, 'উভয় দেশই পরিস্থিতির ওপর সর্বদা নজর রেখে চলেছে এবং আশা করা হচ্ছে যে বিরোধ মেটানোর কোনও না কোন উপায় অবশ্যই সামনে আসবে'। জয়শঙ্কর বলেন, 'আমি আশা করি আমরা অবশ্যই আমরা বিরোধ অবসানের উপায় খুঁজে পাব। আমি কখনই কোন দেশকে বলিনি যে আমি তাদের বৈধ উদ্বেগের বিষয়ে কথা বলতে চাই না। কিন্তু এটা হতে পারে না যে কথোপকথন, আমার উদ্বেগ এবং আমার সংবেদনশীলতাকে সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে দেয়'।
আগে জেনে নিন, কে হরদীপ সিং নিজ্জার
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাসে কানাডার বিশিষ্ট খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কানাডার সারেতে গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের কাছে নিজ্জারকে দুই অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ী নিজ্জরকে গুলি করে । হামলায় তার মৃত্যু হয়। ভারতীয় সংস্থা এনআইএ নিজ্জারকে পলাতক বলে ঘোষণা করেছিল। নিজ্জার ছিলেন গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের সভাপতি এবং কানাডার চরমপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে) এর প্রধান মুখ ছিলেন। নিজ্জার খালিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধানও ছিলেন।
ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে নিজ্জার হত্যার পেছনে ভারত সরকারের হাত থাকতে পারে। ট্রুডো বলেন, কানাডার নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে নিজ্জারকে ভারত সরকারের এজেন্টরা হত্যা করেছে। নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে কানাডার এজেন্সিগুলো। ট্রুডো জোর দিয়েছিলেন যে কানাডার মাটিতে একজন কানাডিয়ান নাগরিককে হত্যার ঘটনায় ভারতের জড়িত থাকা অগ্রহণযোগ্য।