হোমের এক তরুণী অন্তঃসত্ত্বা বলে তাঁকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে হোমেরই এক যুবকের সঙ্গে। এমন অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলন্ধরের একটি নামী শেল্টার হোমে। ওই তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা গিয়েছে। এমনকি, যাঁর সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনিও মানসিক ভারসাম্যহীন বলে খবর।
২২ বছর বয়সী ওই তরুণী দুই যুবকের নাম উল্লেখ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই দুই যুবকের মধ্যেই এক যুবকের সঙ্গে তরুণীর বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তিনি বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা। গত ১০ বছর ধরে পিংলার এই হোমে রয়েছেন। যুবকটি শুধু মানসিক ভারসাম্যহীনই নন, তাঁর চোখের সমস্যাও আছে।
ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শাহকোটের এসডিএম নবনীত কৌর বলের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করেছেন জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার বীরেন্দর শর্মা। তিন দিনের মধ্যে এ ঘটনার রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই কমিটিকে। মঙ্গলবার সন্ধেয় পিংলা ঘর পরিদর্শনে যান এসডিএম।
আরও পড়ুন,কাশ্মীরে বালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত ৫
অন্যদিকে ওই তরুণী আরেক যে যুবকের নাম করেছেন , তাঁকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। পিংলার হোমে তিন ডজন সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনা সম্পর্কে জানতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে পিংলা হোমের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অনাথ, মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য ১৯৫১ সালে পিংলা হোম তৈরি করা হয়।