জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদে ক্রমশ গর্জে উঠছে দেশ। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়ে এ ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানালেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী-সহ বিরোধী দলের নেতারা। জামিয়ার পড়ুয়াদের উপর পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদ জানাতে সোনিয়া গান্ধীর পাশাপাশি এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসের কপিল সিব্বল, এ কে অ্যান্টনি, গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, আরজেডি-র মনোজ কুমার ঝা, সিপিআই-এর ডি রাজা, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সংবাদমাধ্যমে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘‘খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের উপর যে আচরণ করল পুলিশ, তাতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। পড়ুয়াদের মারধর করেছে পুলিশ, গণতন্ত্রে এটা কখনই মেনে নেওয়া যায় না’’। মহিলাদের হস্টেলে পুলিশের ঢোকা নিয়েও আপত্তি তুলেছেন সোনিয়া। অন্যদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যেভাবে উত্তাল দেশের বিভিন্ন প্রান্ত, সেই প্রেক্ষিতে এই আইন রদের দাবিও তোলেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: ‘তুমি আমাদের নাগরিক না মানলে, আমরাও তোমাকে সরকার হিসাবে মানব না।’
অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজধানীর জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হিংসার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। যদিও তাঁরা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নন বলেই জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র। তবে ধৃতদের প্রত্যেকেরই অপরাধের রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র এম এস রানধাওয়া দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “রবিবারের বিক্ষোভের ঘটনায় জামিয়া নগর থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেরই অপরাধের রেকর্ড হয়েছে। তবে তাঁরা কেউই পড়ুয়া নয়। সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্য নিয়েই ধৃতদের গ্রেফতার করা হয়েছে”।
Read the full story in English