Advertisment

জামিয়াকাণ্ডে ২ কোটির ক্ষতিপূরণ দাবি পড়ুয়ার, কেন্দ্র-দিল্লি পুলিশকে নোটিস হাইকোর্টের

রবিবার জামিয়ার ছাত্রদের সংগঠনের একটি ভিডিও প্রকাশ ঘিরে শোরগোল পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, খাকি উর্দিধারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর মারধর চালাচ্ছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
jamia, জামিয়া জামিয়ায় বিক্ষোভ, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ, jamia protests, jamia students beaten up, জামিয়ায় পুলিশি নিগ্রহ, শায়ন মুজিব, jamia in delhi high court, jamia library video, jamia students beaten in library, জামিয়া ভিডিও

জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পুলিশি নিগ্রহে’ একশো জনেরও বেশি পড়ুয়া জখম হন বলে দাবি। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি নিগ্রহের ঘটনায় নয়া মোড়। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ কোটি টাকার দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন ‘পুলিশি নির্যাতনে’ জখম পড়ুয়া। এ মামলায় সোমবার কেন্দ্র সরকার ও দিল্লি পুলিশকে নোটিস জারি করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।

Advertisment

জানা গিয়েছে, ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে পুলিশি নির্যাতনে তাঁর দুই পায়ে চোট লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন শায়ন মুজিব। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ কোটি টাকার দাবি জানিয়েছেন ওই পড়ুয়া। তাঁর চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি।

আরও পড়ুন: ভাঙা হল ঘর, উঠল পাঁচিল, বস্তি উচ্ছেদের আতঙ্কে কাঁপছে মোদীর শহর

অন্যদিকে, রবিবার জামিয়ার ছাত্রদের সংগঠনের একটি ভিডিও প্রকাশ ঘিরে শোরগোল পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, খাকি উর্দিধারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর মারধর চালাচ্ছেন। ওই ভিডিওটি গত বছরের ১৫  ডিসেম্বরের বলে দাবি করা হয়েছে। ভিডিওতে আরও কয়েকজনকে দেখা গিয়েছে, যাঁদের মুখ কাপড়ে ঢাকা।

আরও পড়ুন: দিল্লি পুলিশকে প্ররোচনায় পা না দেবার বার্তা অমিত শাহের

লাইব্রেরিতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছিল দিল্লি পুলিশ। রবিবার ওই ভিডিও প্রকাশের পর দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভিডিওটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে, জামিয়ার উপাচার্য নাজমা আখতার দাবি করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার অনুমতি ছিল না পুলিশের।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। একশো জনেরও বেশি পড়ুয়া জখম হন বলে খবর। ২ মাস হয়ে গেলেও এখনও কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

national news
Advertisment