৩৭০ ধারা বাতিল করে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা দেশ, ঠিক তখনই এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হলেন বিদেশের রাষ্ট্রদূতরা। ৩৭০ ধারা নিয়ে মোদী সরকার ঠিক কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের জানাল নয়া দিল্লি। বিশেষত, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেরই এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেশ করল মোদী সরকার।
আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি রাষ্ট্রসংঘের সিদ্ধান্ত বিরোধী: পাকিস্তান
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বিদেশ সচিব বিজয় গোখেলের নেতৃত্বে ব্রিফিং করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, চিন, রাশিয়া-সহ অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের ৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি জার্মানি, কানাডা, জাপানের মতো দেশের প্রতিনিধিদেরও এ প্রসঙ্গে অবগত করা হয়। তবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোকেই আগে এ ব্যাপারে অবগত করে নয়া দিল্লি। এদিকে, সোমবার ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়াকে তলব করে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গেই তলব করা হয়।
আরও পড়ুন: অমিত শাহর মাস্টারস্ট্রোক, ৩৭০ ধারা রদ করে ‘মিশন সফল’ মোদী সেনাপতির
অন্যদিকে, সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কর্পোরেশনের আওতাধীন দেশগুলিকে ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি সরকার। তবে আগামী কয়েকদিনে আরও বেশ কয়েকটি দেশকে এ ব্যাপারে ব্রিফ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এক সূত্রের ব্যাখ্যা, ‘‘এটা বালাকোটের মতো পরিস্থিতি নয়। আমরা বর্তমান সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছি মাত্র’’। ব্রিফিংয়ে এও বলা হয় যে, এটা দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সুষ্ঠু প্রশাসনিক কাজ ও জম্মু-কাশ্মীরের আর্থিক ভিত চাঙ্গা করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ৩৭০: কী বলেছিলেন বাজপেয়ী, কেন তাঁকে মনে পড়ল গৃহবন্দি মেহবুবা মুফতির
এদিকে, ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারত সরকার এককভাবে এই মর্যাদা বদল করতে পারে না। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ এবং পাকিস্তান এ সিদ্ধান্ত কোনও দিনই মেনে নেবে না। এই আন্তর্জাতিক বিতর্কিত বিষয়ের অংশীদার হওয়ায় পাকিস্তান বেআইনি এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমস্তরকম ব্যবস্থা নেবে।”
Read the full story in English