উত্তর কাশ্মীরের বনিয়ারের জঙ্গলে ৯ বছরের বালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অবশেষে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল পুলিশ। এ ঘটনায় তিন নাবালক ও এক মহিলাসহ পাঁচজনকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করল পুলিশ। উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলার বনিয়ার জঙ্গলে ওই বালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বনিয়ারের জঙ্গলে ওই বালিকার পরে দেহ উদ্ধার করা হয়। খুনের পর দেহ বিকৃত করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। বাড়ি থেকে এক কিমি দূরত্বের মধ্যেই ওই বালিকার দেহ মিলেছিল।
এ ঘটনার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার সৎ মা তাঁর স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে পছন্দ করতেন না। শুধু তাই নয় তিনি তাঁর স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানদেরকে হিংসার চোখে দেখতেন। গত ২৩ অগাস্ট নির্যাতিতাকে তাঁর সৎ মা ওই জঙ্গলে নিয়ে আসেন। সৎ মায়ের সঙ্গে ছিল তাঁর ১৪ বছরের এক নাবালক সন্তান ও তার দুই নাবালক বন্ধু। তারাই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, গৌরী লঙ্কেশ মৃত্যুবার্ষিকী: তদন্তে সাফল্যের মুখ, গুলি চালিয়েছিল ওয়াগমারেই
এ ঘটনা প্রসঙ্গে বারামুলার সিনিয়র পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ হুসেন মীর বলেন যে দুই নাবালকসহ সব অভিযুক্তরাই খুনের কথা স্বীকার করেছে।
গত ২৩ অগাস্ট বনিয়ারে নিজের বাড়ি থেকে ওই বালিকা নিখোঁজ হয় বলে জানা গিয়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে পরের দিন একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে তদন্ত চলাকালীন, নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছিলেন যে, তাঁর দুই স্ত্রী রয়েছেন। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর মেয়েই নিখোঁজ বলে জানিয়েছিলেন তিনি। ওই বালিকার দেহ উদ্ধারের পর বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট) গঠন করা হয়েছিল।