২০২৩ সালে জম্মু-কাশ্মীর বসবে জি-২০ সম্মেলনের আসর। অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলির বৈঠক জি-২০ সম্মেলন নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সামগ্রিক সমন্বয়ের জন্য পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠনও করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ১৩ অগাস্ট উপত্যকা থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। এরপর জি-২০ সম্মেলই হবে জম্মু ও কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত প্রথম বৃহৎ আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে জি-২০-র জন্য ভারতের পক্ষ থেকে শেরপা হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রক বলেছিল যে, ভারত ১ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে জি-২০-র সভাপতিত্ব করবে এবং ২০২৩ সালে প্রথমবারের জন্য সম্মেলনের আয়োজন করবে।
কেন্দ্রের জারি করা একটি সরকারি আদেশ অনুসারে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আবাসন ও নগর উন্নয়ন বিভাগের প্রধান সচিব সমন্বয় কমিটির সভাপতিত্ব করবেন। এছাড়া সমন্বয় কমিটির সদস্যরা হলেন পরিবহণ সচিব, পর্যটন মন্ত্রকের প্রশাসনিক সচিব (পর্যটন), আতিথেয়তা ও প্রটোকল বিভাগের প্রশাসনিক সচিব এবং সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রশাসনিক সচিব।
সরকারি নির্দেশে উল্লেখ, আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবও উপত্যকায় জি-২০ সম্মেলনের আয়োজনের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের নোডাল অফিসার হিসাবে মনোনীত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০১৪ সাল থেকে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন৷ ১৯৯৯ সালে জি-২০-র শুরু থেকেই সদস্য ভারত৷
বিদেশমন্ত্রকের তথ্য মোতাবেক, ভারত ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের 30 নভেম্বর পর্যন্ত জি-২০-র পূর্ববর্তী, বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রেসিডেন্সিগুলির অংশ হবে।
জি-২০ গোষ্ঠীর সদস্য রাষ্ট্রগুলির হাতেই রয়েছে বিশ্বব্যাপী জিডিপির ৪০ শতাংশের বেশি, বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্ব জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ।
জি-২০-র সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।