১৩ বছর পর পৌর প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পেল জম্মু-কাশ্মীরের শহুরে ভোটাররা। সোমবার রাজ্যের চার দফা পুর নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট ছিল। এদিন সকাল ৭টা থেকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। তবে সকালের দিকে বুথের বাইরে ভোটেরদের ভিড় সেভাবে চোখে না পড়লেও বিকাল ৪টে পর্যন্ত ১১ জেলায় মোট ৬৩.৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন আধিকারিক রমেশ কুমার। বিচ্ছিন্নভাবে পাথর ছোড়ার খবর পাওয়া গেলেও, সেভাবে কোনও বড় অশান্তির খবর আসেনি। উপত্যাকায় মোট বৈধ ভোটারের সংখ্যা ৮৫ হাজার, এরমধ্যে মহিলা ৪০, ৮০০ জন।
জম্মু-কাশ্মীরের মোট ৭৯টি পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে। লে ও কার্গিল-সহ মোট ১১ জেলার ১৫টি পৌরসভার নির্বাচন হয়েছে সোমবার। এদিন শ্রীনগর পুরসভার ৩টি ওয়ার্ডে-সহ মোট ৩২১টি ওয়ার্ডের ভোট হয়েছে। উপত্যকার দুই প্রধান দল ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপি এই নির্বাচনকে বয়কট করলেও ভোটে লড়ছে কংগ্রেস, বিজেপি এবং নির্দল প্রার্থীরা। সোমবার প্রথম দফায় মোট ১২০৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ণয় হবে।
বিকাল ৪টে পর্যন্ত জেলা ভিত্তিক ভোটের হার।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, কার্গিল ও লে এলাকায় যথাক্রমে ৭৮ ও ৫২ শতাংশ ভোট পড়লেও সেনা শাসিত কাশ্মীর উপত্যকায় ভোট পড়েছে মাত্র ৮.৩ শতাংশ।
জম্মু-কাশ্মীরের ৫৯৮টি পৌর আসনের মধ্যে ২৩৬টিতে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীতা হচ্ছে না। এছাড়া ১৮৪টি আসনে কোনও মনোনয়নই জমা পড়েনি।
সোমবার নিরাপত্তার কারণে দক্ষিণ কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। উপত্যকার অন্যান্য অংশে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে ২০ অক্টোবর। কাশ্মীর উপত্যকার ১৪৯টি আসনে এবং লাদাখ, জম্মু ও পিরপাঞ্জল এলাকার ২৬টি আসনেও নির্বাচন হবে।