সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে ফের উত্তপ্ত উপত্যকা। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গুলির লড়াইয়ে ৪ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এ ঘটনায় তিন সেনা জওয়ান ও জম্মু-কাশ্মীরের এক পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও এলাকায় গুলির লড়াই চলছে বলে খবর। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে নওগাম এলাকায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে ২ জন জৈশ-এ-মহম্মদ জঙ্গির মৃত্যু হয়। এনকাউন্টারে জখম হন ৫ জন সেনা জওয়ান। শুক্রবার সকালে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেসময়ই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন ঘটনাস্থল থেকে আমেরিকায় তৈরি এম ৪ কার্বাইন রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। পাকিস্তানের বিশেষ বাহিনী ওই ধরনের রাইফেল ব্যবহার করে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, কাশ্মীরে ফের সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, হত ২ জঙ্গি
বৃহস্পতিবারও জম্মু-কাশ্মীরে দুটি এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারায় এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে আরও এক জঙ্গি। নিহত জঙ্গিরা হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্কর-এ-তইবার বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ উপত্যকায় ৪টি আলাদা এনকাউন্টারে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছিল ৮ জঙ্গি ও এক নাবালক। সেদিন উত্তর কাশ্মীরেই তিনটি গুলির লড়াইয়ের ঘটনা ঘটে। সেদিনও দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে এনকাউন্টার হয়। পরে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়, সোপোর, সোপিয়ান ও বারামুলায় তিনটি এনকাউন্টারে যে ৬ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, তাদের সঙ্গে জৈশ-এ-মহম্মদের যোগ রয়েছে।
Read the full story in English