কাশ্মীর নিয়ে ওঠা সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে বলে জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনকে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কাশ্মীরে বিধিনিষেধ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যেসব আবেদন জমা পড়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে জানিয়েছেন আবেদনকারীরা এই বিধিনিষেধগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে বিস্তারিত সওয়াল করেছেন, এবং তাঁকে উত্থাপিত সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। উল্লেখ্য জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনের কৌঁশুলি হলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
এনভি রামানা, আর সুভাষ রেড্ডি এবং বি আর গভাইকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলে, "মিস্টার মেহতা, আবেদনকারীদের বিস্তারিত সওয়ালে যেসব প্রশ্ন উঠে এসেছে আপনাকে তরা সব কটার জবাব দিতে হবে। আপনার পাল্টা হলফনামায় আমাদের সিদ্ধান্তে আসার সুবিধে হবে না। এমন কিছু করবেন না যাতে আমাদের মনে হয় এ ব্যাপারে আপনি যথেষ্ট মনোযোগ দেননি।"
তুষার মেহতা বলেন, আবেদনকারীরা বিধিনিষেধ নিয়ে যেসব প্রশ্ন তুলেছেন তার প্রায় সবকটিই "বেঠিক" এবং তিনি যখন আদালতে সওয়াল করবেন সব প্রেক্ষিত নিয়েই আলোচনা করবেন।
সলিসিটর জেনারেল বলেন, এ ব্যাপারে তাঁর কাছে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট থাকলেও তা তিনি জম্মু কাশ্মীরের নিয়ত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাপেক্ষে আদালতে দাখিল করেননি। তিনি বলেন, তাঁর সওয়ালের সময়ে ঠিক কী পরিস্থিতি তা তিনি আদালতকে জানাবেন।
শীর্ষ আদালত ব্যাখ্যা করে বলে একটি আবেদন ছাড়া অন্য কোনও আবেদনে আটক রাখার বিষয়টি নেই। "আমরা জম্মু কাশ্মীরে আটক রাখার কোনও আবেদন শুনছি না। আমরা যে দুটি আবেদন শুনছি সে দুটি অনুরাধা ভাসিন ও গুলাম নবি আজাদের করা। এ দুটি আবেদন চলাফেরার স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যম ইত্যাদি বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।" আদালত আরও বলে, কেবলমাত্র একটি হেবিয়াস কর্পাসের আবেদন মুলতুবি রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এক ব্যবসায়ীর আটক রাখার প্রেক্ষিতে ওই হেবিয়াস কর্পাস মামলা মুলতুবি রাখা হয়েছে কারণ আবেদনকারী একই সঙ্গে জম্মুকাশ্মীর হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
বেঞ্চ বলেছে, "এখন ওঁরা হাইকোর্ট থেকে আবেদন তুলে নিয়েছেন, এবার ওই আবেদন এখানে মুলতুবি রয়েছে।"
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন উপত্যকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। রাজ্যসভায় তিনি বলেন রাত আটটা থেকে সকাল ছটা পর্যন্ত সময়কাল বাদ দিয়ে জম্মু কাশ্মীরে ১৯৫টি থানা এলাকার কোথাও ১৪৪ ধারার আওতায় বিধিনিষেধ বহাল থাকছে না। তিনি আরও জানান স্কুলে উপস্থিতির পরিমাণ ৯৮ শতাংষ এবং জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনের সমর্থন মিললেই ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরিয়ে আনা হবে।