জম্মু কাশ্মীরের বেশ কিছু সরকারি স্কুল খুলেছে সোমবার। সরকারি আধিকারিকরা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন শ্রীনগরে ১৯০টি প্রাথমিক স্কুল খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পিটিআই জানিয়েছে, শিক্ষকরা স্কুলে এলেও ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের প্রায় দেখাই যায়নি।
উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অভিভাবকদের মনে সন্দেহ থাকায় প্রাইভেট স্কুলগুলি এদিনও খোলেনি। এই নিয়ে টানা ১৫ দিন বেসরকারি স্কুল বন্ধ থাকল শ্রীনগরে।
পিটিআই জানিয়েছে, বেমিনার পুলিশ পাবলিক স্কুল ও কয়েকটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে সামান্য কয়েকজন ছাত্রছাত্রী এসেছে।
ফারুক আহমেদ দার নামের এক অভিভাবক জানিয়েছেন, "পরিস্থিতি এতটাই অনিশ্চিত যে এই পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না।"
বারামুল্লা জেলার আধিকারিকরা জানিয়েছেন পাঁচটি শহরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। বাকি জেলাগুলির স্কুল খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, কথা যদি হয় তবে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই: রাজনাথ সিং
এক আধিকারিক বলেন, "পাট্টান, পালহালান, সিংপোরা, বারামুল্লা, এবং সোপোর শহরে বিধিনিষেধ শিথিল হয়নি। বাকি জেলাগুলিতে প্রাথমিক স্কুল খোলা রয়েছে। আমরা স্কুলে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা জোগাড় করার চেষ্টা করছি।"
শ্রীনগরের এক সিনিয়র জেলা আধিকারিক বলেছেন প্রান্তিক কিছু এলাকায় স্কুল খোলা থাকলেও পুরনো শহর এবং সিভিল লাইনস এলাকায় গত দুদিনের অশান্তির জেরে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার থেকে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত সব স্কুল এবং সরকারি অফিস খোলা রাখার পরিকল্পনা করেছিল কর্তৃপক্ষ।
৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারার আওতায় জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর শ্রীনগরের যেসব এলাকায় অশান্তি হয়নি, সেখান থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উপত্যকায় বাজার বন্ধ এবং গণপরিবহণও চলাচল করছে না। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর প্রাইভেট গাড়ির চলাচল বেড়েছে শহরে।
কয়েকটি এলাকা বাদ দিলে রবিবারও উপত্যকায় সংযোগব্যবস্থায় ব্ল্যাকআউট জারি থেকেছে। শ্রীনগরের কিছু এলাকা এবং উপত্যকার বিভিন্ন টুরিস্ট রিসর্ট সহ কয়েকটি জায়গায় ল্যান্ডলাইন চালু হলেও গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন এক্সচেঞ্জগুলি বন্ধ। জম্মুর ১০টি জেলার মধ্যে পাঁচটি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Read the Full Story in English