প্রায় দু’সপ্তাহ পর উপত্যকার স্কুলগুলি ফের চালু হতে চলেছে সোমবার। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছিল, ধাপে ধাপে ‘স্বাভাবিক’ হয়ে উঠবে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি। সেই পরিকল্পনা আনুযায়ী এদিনই খুলতে চলেছে উপত্যকার বিদ্যায়তনগুলি। তবে বহু এলাকাতেই এখনও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার জন্য সচল থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জম্মুর দশটি জেলার মধ্যে পাঁচটিতে ফের মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বিকল করে দেওয়া হয়েছে।
পর্যটকদের থাকার রিসর্টগুলি-সহ শ্রীনগরের কিছু এলাকায় ফিক্সড লাইন টেলিফোন চালু করা হলেও, উপত্যকার প্রধান প্রধান টেলিফোন এক্সচেঞ্জগুলি মূলত বন্ধই থেকেছে। রবিবার জম্মুতে টুজি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যাপক গুজব ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এরপরই পেট্রোলপাম্পগুলিতে লম্বা লাইন চোখে পড়েছে।
আরও পড়ুন- কথা যদি হয় তবে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই: রাজনাথ সিং
উল্লেখ্য, ৫ অগাস্ট কেন্দ্র জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাবেক রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর অব্যবহিত আগে থেকেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে নজিরবিহীন বিধিনিষেধ জারি করা হয় প্রশাসনের তরফে।
ইতিমধ্যে শ্রীনগরের বাঘত এবং গোগজিবাগ এক্সচেঞ্জ চালু করা হয়েছে। এই দুটি এক্সচেঞ্জই মূলত সাধারণ মানুষদের পরিষেবা দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি, মূলত ক্যান্টনমেন্ট এলাকার জন্য ব্যবহৃত ইন্দিরা নগর এক্সচেঞ্জও সচল হয়েছে। তবে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শহরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ লালচক এক্সচেঞ্জ চালু করার কোনও নির্দেশিকা তাঁরা এখনও পাননি।
আরও পড়ুন- ভারতের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার ফ্যাসিস্টদের হাতে, আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ ইমরান খানের
এদিকে, সৌরা, হরিপার্বত, করণনগর, জাইনাকোট এবং বেমিনা এক্সচেঞঅজের অন্তর্গত ল্যান্ডলাইনগুলি এখন বিকল রাখা হয়েছে। যেসব লাইন সচল করা হয়েছে, সেগুলি থেকেও আবার ইন্টারনেট ও আইএসডি পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে গুলমার্গ, সোনমার্গ এবং সীমান্তবর্তী উরি এলাকার পর্যটকদের রিসর্টগুলিতে ল্যান্ডলাইন যোগাযোগ সচল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে, উত্তর কাশ্মীরের সাপোর, বারামুলা, কূপওয়ারা এবং বান্দিপোরে রবিবার রাত পর্যন্ত ল্যান্ডলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্নই থেকেছে।
Read the full story in English