সংবিধানের ৩৫ এ অনুচ্ছেদ নিয়ে শুনানি আগামী বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত স্থগিত রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ অনুসারে জম্মু কাশ্মীর সরকার রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা কারা তা ঠিক করতে পারে, এবং স্থির করতে পারে তাদের অধিকার। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই আদালতের কাছে স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত এ সম্পর্তিত শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিল। এ বছরের ডিসেম্বরে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার জম্মুর কিছু এলাকায় এবং কাশ্মীরের সর্বত্র সম্পূর্ণ বনধ পালিত হয়। সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, উমর ফারুক এবং ইয়াসিন মালিকদের নেতৃত্বাধীন যৌথ প্রতিরোধী নেতৃত্বের ডাকে বনধ চলছে, আজ শুক্রবারও।
আরও পড়ুন, আসাম এন আর সি তালিকা থেকে বাদ পড়া ১০ শতাংশ মানুষের তথ্য পুনর্যাচাইয়ের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে, স্থানীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির কারণ দেখিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র, উভয় সরকারই এ ব্যাপারে শুনানি স্থগিতের আবেদন জানিয়েছিল। সে ব্যাপারে রায়দান অগাস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত।
দেশের মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি এ এম খানউইলকরের নেতৃত্বে গড়া ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল ‘‘অগাস্টের ২৭ তারিখ যে সপ্তাহ শুরু হচ্ছে, সেই সপ্তাহে একটি তিন বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ স্থির করবে যে এ বিষয়টির শুনানি সাংবিধানিক বেঞ্চে হওয়া উচিত কি না।’’
সংবিধানের ৩৫ এ অনুচ্ছেদ অনুসারে, জম্মু-কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া অন্য কেউ সে রাজ্যে চাকরি করার, সে রাজ্যে বাস করার অধিকারী নন। এরকম কেউ সে রাজ্যে ব্যবসা করতে পারেন না বা কোনো অস্থাবর সম্পত্তি অধিকার করতে পারেন না। রাজ্য সরকার এরকম কোনও আইন তৈরি করলে তা নিয়ে কোনও আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো যাবে না।
শুনানি স্থগিত নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘সংবিধানে ৩৫ এ ধারা নিয়ে শুনানি স্থগিত রাখা কোনও স্থায়ী সমাধান না হলেও এর ফলে জম্মু-কাশ্মীরের জনতা কিছুটা সময়ের জন্য হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন। কিন্তু এই বিশেষ মর্যাদা নিয়ে যে অনিশ্চয়তার মেঘ জড়ো হচ্ছে তা জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের কাছে আতঙ্ক ও উদ্বেগের।’’