Advertisment

বালাকোটে পাক শেলিং, স্কুলে আটকে বহু পড়ুয়া

সূত্রের খবর, পাকিস্তানি বাহিনী কোনোরকম প্ররোচনা ছাড়াই মর্টার এবং হালকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গোলাবর্ষণ শুরু করে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা এবং পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pakistani army shelling

ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের

শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার বালাকোট ক্ষেত্রে প্রায় আধ ডজন স্কুলে পাকিস্তানি সেনার মর্টার শেলিং-এর ফলে আটকে পড়ল অসংখ্য পড়ুয়া। সূত্রের খবর, পাকিস্তানি বাহিনী কোনোরকম প্ররোচনা ছাড়াই মর্টার এবং হালকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গোলাবর্ষণ শুরু করে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা এবং পুলিশ।

Advertisment

সূত্রের আরও খবর, ভারতের তরফেও পাল্টা গুলি ছোড়া হয়েছে। এখনও চলছে গুলি বিনিময়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মানকোট ক্ষেত্রের কাছে বালনোই থেকে তারকুন্ডি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমানার ৫০ কিমি ধরে প্রায় ৫০-৬০ টি গ্রাম শেলিং-এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ সকাল ৯.৪৫ নাগাদ শুরু হয় শেলিং, এবং লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি)-এর কাছাকাছি বাস করা অসামরিক মানুষকেই নিশানা করা হয় বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

সানদিয়োটে সরকারি হাইস্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, "আমরা ছাত্রদের একটা ঘরে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে ওদের বলি, দেয়ালের আড়ালে দাঁড়াতে। স্কুল ভবনের ৫০ মিটারের মধ্যে অন্তত ছ'টি মর্টারের শেল এসে পড়ে।" এই হাইস্কুল ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেহরোতের সরকারি মাধ্যমিক স্কুল এবং লানজিয়োতের প্রাথমিক স্কুল, জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গোলাবর্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনের কাছে ফোন আসতে থাকে পড়ুয়াদের উদ্ধার করার জন্য। পুঞ্চের ডেপুটি কমিশনার রাহুল যাদব স্বীকার করেছেন যে বালাকোট এলাকায় পাঁচ-ছ'টি স্কুলে মর্টার শেলিং এবং আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গোলাবর্ষণের প্রভাব পড়েছে। স্কুল শুরু হয় সকাল আটটায়, এবং যেহেতু গোলাবর্ষণ তার অনেক পরে শুরু হয়, বাচ্চারা স্কুল থেকে বেরোতে পারে নি, বলেন যাদব। শেলিং থামলে তবেই যথাযথ উদ্ধার কাজ শুরু করা যাবে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে, বালাকোট অঞ্চলেই একটি গাড়ি এবং গরুর গোয়াল শেলিং-এ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যদিও হতাহতের কোনও খবর আসে নি।

jammu and kashmir pakistan
Advertisment