জম্মু-কাশ্মীরে প্রশাসনিক কড়াকড়ি শিথিল করা নিয়ে মঙ্গলবার কোনও রায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট। কোনও কিছুই রাতারাতি করা যাবে না। উপত্যকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকারকে সময় দিতে হবে, জম্মু-কাশ্মীর মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের। উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই কার্যত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে রাখা হয়েছে ভূ-স্বর্গকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত থমকে রয়েছে উপত্যকায়। এই প্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা। সেই মামলার শুনানিতেই মঙ্গলবার এমন পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
মঙ্গলবার আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উপত্যকার পরিস্থিতির শিক্ষা নিয়েই এবার এত কড়াকড়ি করা হয়েছে। তিনি আশ্বাসের সুরে বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। সবটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। এজি এও জানান যে, সরকার নিয়মিত গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। এখনও পর্যন্ত উপত্যকায় কোনও প্রাণহানি হয়নি।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে অভিযোগকারী পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে আলোচনার বার্তা রাষ্ট্রসংঘের
জম্মু-কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতির আটকের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তেহসিন পুনাওয়ালা। সুপ্রিম কোর্টে আবেদনপত্রে কার্ফু প্রত্যাহারের কথাও উল্লেখ করেছিলেন ওই সমাজকর্মী। উল্লেখ্য, ফোন, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন কাশ্মীরবাসী। সমস্যায় পড়েছে উপত্যকার বেশ কিছু সংবাদ চ্যানেলও।
আরও পড়ুন: এনআরসি: ফের তথ্য যাচাই নয়, ৩১ অগাস্টেই অনলাইনে বাদ পড়াদের নাম প্রকাশে সুপ্রিম নির্দেশ
উল্লেখ্য, গত ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর পৃথক দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। এ নিয়ে বিলও পাস হয়ে যায়। এ সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিরোধী দল। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরই নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে উপত্যকাকে। জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মন বুঝতে সেখানে রওনা দিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। কয়েকদিন আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, পরিস্থিতি ঠিক হলে, আবারও রাজ্যের মর্যাদা পাবে জম্মু-কাশ্মীর।
Read the full story in English