‘গোয়েন্দা ব্যর্থতা’র জন্যই উপত্যকায় এতজন জওয়ানের রক্ত ঝরল, একথা মানলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন সত্যপাল মালিক। নিরাপত্তার নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটি কনভয়ের মধ্যে ঢুকল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এত বড় জঙ্গী হামলা এর আগে ঘটেনি জম্মু-কাশ্মীরে। গতকালের হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৭ জন সিআরপিএফ জওয়ান, জখম হয়েছেন আরও অনেকে।
জঙ্গী হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে রাজ্যপাল বলেন, "বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটিতে আমরা তল্লাশি চালাতে পারিনি। আমাদের গাফিলতি ছিল, তা মানতেই হবে।" সত্যপাল মালিক আরও বলেছেন, স্থানীয় জঙ্গীদের বিরুদ্ধে যখন অভিযান চালাচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী, তখনও গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে কোনও আগাম সতর্কতা ছিল না। ওই স্থানীয় জঙ্গীরা জইশ-এ-মহম্মদ সংগঠনের। গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে এমন কোনও খবর ছিল না যে, ওই জঙ্গীদের মধ্যে কেউ আত্মঘাতী হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন, কুড়ি বছরে কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী জঙ্গী হামলা, মৃত কমপক্ষে ৩৭
জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল বলেছেন, "এটা গোয়েন্দা ব্যর্থতা। এই ছেলেটি (আদিল আহমেদ দার) সন্দেহভাজনদের তালিকায় ছিল। ওকে কেউ আশ্রয় দেয়নি। জঙ্গল-পাহাড়ে পালিয়ে বেড়িয়েছিল। আমরা ওর সম্পর্কে জানতাম। কিন্তু ওর হদিশ পাইনি।" প্রসঙ্গত, আদিলই গতকাল আত্মঘাতী হামলা ঘটায় বলে দাবি করেছে জইশ-এ-মহম্মদ।
আরও পড়ুন, কাশ্মীর উপত্যকাও দেখে নি এমন মৃত্যু মিছিল
জঙ্গী হামলার ঘটনায় গোটা দেশ ক্ষোভে ফুঁসছে। বদলা নেওয়ার কথা উঠছে সব মহলে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, "পরবর্তী কৌশল ঠিক করা হবে। তবে এটুকু বলতে পারি, আগামী তিন মাসের মধ্যে আমরা ওদের বিনাশ করব। পঞ্চায়েত, পুরভোট করেছি আমরা। একটা পাখিও মরে নি। এর আগে বহু মানুষ প্রাণ হারাতেন ভোটের সময়।" জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল বলেছেন, ভারতে বড়সড় হামলা ঘটানোর জন্য জঙ্গীদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল পাকিস্তান।
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সত্যপাল মালিক।
Read the full story in English