ফের রক্তাক্ত হল ভূস্বর্গ। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের কিশতওয়ারের একটি হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে স্থানীয় আরএসএস নেতা চন্দ্রকান্ত শর্মার উপর হামলা চালাল একদল জঙ্গী। ঘটনায় এক পুলিশকর্মী-সহ দু'জন মারা গিয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় চন্দ্রকান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ সংঘের ওই নেতা হাসপাতালে এসেছিলেন। তিনি পেশাগতভাবে ওই হাসপাতালেই স্বাস্থ্য সহকারী হিসাবে কর্মরত। নিরাপত্তাজনিত কারণে কিছুদিন আগেই চন্দ্রকান্তকে একজন দেহরক্ষী দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাড়ে বারোটা নাগাদ চন্দ্রকান্ত যখন হাসপাতালের আউটডোর থেকে বেরিয়ে আসছিলেন, তখন আচমকাই তাঁর উপর চড়াও হয় তিন জঙ্গী। নিরাপত্তারক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। ওই পুলিশকর্মী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। এক স্থানীয় বাসিন্দা ও চন্দ্রকান্তও গুলিতে লুটিয়ে পড়েন। চন্দ্রকান্তের দেহরক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দাটি ঘটনাস্থলেই মারা যান। আরএসএস নেতার অবস্থাও সংকটাপন্ন।
পুলিশ জানিয়েছে, সপ্তাহের কাজের দিনে ভরদুপুরে হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রচুর মানুষ ছিলেন। সেই সুযোগে ছিনতাই করা একে-৪৭ রাইফেল সহ সহজেই ভিড়ে মিশে যায় জঙ্গীরা। এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও খোঁজ মেলেনি। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এম কে সিনহা বলেন, "আততায়ীদের এবং খোয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্রটির খোঁজ চলছে।" হামলার অব্যবহিত পরেই কিশতওয়ারে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, এই এলাকাতেই ২০১৮ সালে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অনিল পরিহার ও তাঁর ভাই অজিতকে খুন করেছিল জঙ্গীরা।
গত কয়েকদিনে উপত্যকায় জঙ্গী হামলার বিরাম নেই। গত শনিবার সোপোরের ওয়ারপোরায় মহম্মদ রফি ইয়াতু নামে এক জওয়ানে বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় জঙ্গীরা। ৩০ মার্চ ন্যাশনাল হাইওয়েতে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে সিআরপিএফের বাসে হামলার ব্যর্থ চেষ্টা করে হিজবুল মুজাহিদিন। তারপর এদিনের হামলা।
Read the full story in English