১৪ এপ্রিল রাত ৮টা থেকে ১ মে সকাল ৭টা পর্যন্ত ‘জনতা কার্ফু’ জারি মহারাষ্ট্রে। এই সময় গোটা রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। অর্থাৎ ১৫ দিন রাজ্যের কোথাও জমায়েত করা যাবে না। খুব দরকার ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে। সংক্রমণ আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত। একমাত্র অত্যাবশকীয় পণ্যের বাজার খোলা থাকবে। এই ঘোষণার পর থেকেই লকডাউন আতঙ্ক ফের গ্রাস করছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। ফের যাতে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে না হয় সেই বন্দোবস্ত এখন থেকেই করতেই মরিয়া শ্রমিক পরিবারগুলো।
বুধবার সকালে লোকমান্য তিলক টার্মিনাস স্টেশনের বাইরে দেখা যায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই অন্য রাজ্য থেকে কাজ করতে আসা শ্রমিক। তাঁদের অনেকেরই ধারণা, ফের হয়তো লকডাউন ঘোষণা হবে মহারাষ্ট্রে। তার আগেই নিজেদের রাজ্যে ফিরতে চান তাঁরা।
দেশে কোভিড সংক্রমণের প্রথম দিকে এই ছবিটা দেখা দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন ঘোষণা করতেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে নিজেদের রাজ্যের ফেরার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে। সেই একই ছবি আরও একবার ধরা পড়ল মুম্বইয়ে। যদিও এই পরিস্থিতিতে ভীত না হওয়ার বার্তা দিয়েছে মধ্য রেলওয়ে।
এই প্রসঙ্গে মধ্য রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শিবাজী সুতার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাঁদের স্টেশনে ভিড় করাও উচিত নয়। আমরা মাইকে সেটাই ঘোষণা করেছি। কেবল মাত্র যে যাত্রীদের কাছে বৈধ টিকিট রয়েছে তাঁরাই বিশেষ ট্রেনে যেতে পারবেন। ট্রেন ছাড়ার দেড় ঘণ্টা আগে তাঁদের স্টেশনে পৌঁছতে হবে।’
মধ্য রেলওয়ে সূত্রে খবর, সম্প্রতি টিকিটের চাহিদা খুব বেড়েছে। এই অবস্থায় আরও বেশি ট্রেনের বন্দোবস্ত করা যায় কি না, সেই বিষয়ে আলোচনা করছে তারা। দেশে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে সব থেকে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। দিন দিন রেকর্ড ভাঙছে আক্রান্তের সংখ্যা।