জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ওপর প্রাণঘাতী হামলা, বোমা বিস্ফোরণে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন কিশিদা। বক্তৃতা চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য করে পাইপ বোমা নিক্ষেপ করা হয়। যদিও এই ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন কিশিদা। অভিযুক্ত গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ওপর ‘মারাত্মক হামলা’! অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।ওয়াকায়ামা সিটিতে বক্তৃতার সময় এক ব্যক্তি হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে পাইপ বোমা ছুঁড়ে মারেন। তবে বোমাটি বিস্ফোরণের আগেই প্রধানমন্ত্রী কিশিদাকে নিরাপদে বের করে আনা হয়। যেখানে বক্তৃতা হওয়ার কথা ছিল সেখান থেকে কিশিদাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরই প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা।
ঘটনার একটি ভিডিওও ভাইরাল হচ্ছে, যাতে প্রধানমন্ত্রী কিশিদার বক্তৃতা শুনতে আসা লোকজনকে ঘটনার পর প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীর সমর্থনে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী কিশিদা।
দ্য জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ওয়াকায়ামা সিটিতে ভাষণ দেওয়ার সময়ই এই বিস্ফোরণ হয়। ‘স্মোক বোমা’ নিক্ষেপের পর ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় সভাস্থল। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বক্তৃতা শুনতে আসা মানুষজন প্রাণ বাঁচাতে রীতিমত ছোটাছুটি শুরু করেন। গোটা এলাকা কার্যত ঘিরে নিয়ে চলে তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তাকর্মীরা এক ব্যক্তিকে আটক করেন। এদিনের বিস্ফোরণের পর অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান প্রধানমন্ত্রী কিশিদা। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীর সমর্থনে বক্তৃতার মাঝেই ঘটে এই বিস্ফোরণ।
উল্লেখ্য গত বছরই জাপানে নারা শহরে বক্তব্য রাখার সময় দুষ্কৃতী হামলায় মৃত্যু জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের। বক্তব্য রাখার সময় আবেকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে এক দুষ্কৃতী। লুটিয়ে পড়েন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি।