জাপান সোমবার বলেছে যে চিনের লিয়াওনিং এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ কৌশল ও ফ্লাইট অপারেশন পরিচালনাকারী পাঁচটি যুদ্ধজাহাজের ওপর তারা নজর রাখছে। আর, সেই নজর রাখার জন্য গত দুই সপ্তাহে তারা জেট ফাইটার, বিমান ও যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করেছে।
গত ১৬ ডিসেম্বর পূর্ব চিন সাগর থেকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান দ্বীপ ওকিনাওয়া আর মিয়াকোজিমা দ্বীপের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী বাহিনী-সহ হানা দিয়েছিল চিনা নৌসেনা। সেই হানা দেওয়ার পর থেকেই জাপান চিনের কার্যকলাপে নজরদারি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে। সোমাবার জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নজরদারির কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
অবশ্য চিনের এই ধরনের হানাদারি নতুন কিছু না। অতীতেও চিন এই ধরনের হানাদারি চালিয়েছে। মে মাসেই তারা জাপানি দ্বীপগুলির কাছে সাম্প্রতিক সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালায়। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল জাপান। বাধ্য হয়ে জাপান জানিয়ে দেয় যে তারা চিনকে সামরিক মহড়া থেকে বিরত করতে আগামী পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ করবে। পাশাপাশি, প্রতিবেশী তাইওয়ানের জলভাগেও যাতে চিন আগামী দিনে সামরিক মহড়া চালাতে না-পারে, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এমনটাই জানিয়েছে জাপান সরকার।
আরও পড়ুন- যেন বজ্রপাত! মহিলা কোচ যৌন হয়রানির অভিযোগ করলেন, পদত্যাগ ক্রীড়ামন্ত্রীর
রবিবার অতীতের মতই চিনের বিমান এবং হেলিকপ্টারগুলো জাপানের জলসীমা এবং আকাশসীমার মধ্যে হানা দিয়েছিল। শুধু হানা দেওয়াই নয়। কমপক্ষে ৩০০ বার ওই সব বিমানগুলো জাপানের জলসীমা থেকে ওঠানামা করেছে। আর, এই ব্যাপারে জাপানকে বিন্দুমাত্রও জানায়নি। চিন অবশ্য ওই অঞ্চলকে নিজেদের বলে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে চলেছে। যা নিয়ে জাপানের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছে।
জাপান পালটা জানিয়েছে, তারা গোটা বিষয়টির ওপর নজর রাখছে। রবিবার তারা মিয়াকোজিমার কাছে একটি চিনা WZ-7 ড্রোন শনাক্ত করেছে বলেও দাবি করেছে। জাপানের প্রতিরক্ষা দফতর সোমবার ফের জানিয়েছে, তারা নিজেদের সীমায় সোমবারও চিনের ড্রোনটিকে দেখছে। ওই ড্রোনটি বেশ উঁচু দিয়ে উড়ছিল।
Read full story in English