দেশে শিশুর সংখ্যা কমছে। গত বছর শিশুর জন্মের সংখ্যা ছিল রেকর্ডসংখ্যক কম। তাই পরিস্থিতি সামলাতে উঠেপড়ে লাগল জাপান সরকার। প্রবীণ এক মহিলা মন্ত্রী শিশুকল্যাণ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। ঠিকমতো কাজ করতে না-পারায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বদলে নিয়োগ করেছেন এক পুরুষ মন্ত্রীকে। নাম মাসানোবু অগুরা। তিনি নাকি সমস্যাটি গভীর ভাবে বুঝতে চান। এজন্য নিজের পেটকে তিনি 'গর্ভাবস্থার পেট' বানানোরও চেষ্টা করছেন। নতুন মন্ত্রীর কাণ্ডকারখানা দেখে হতবাক জাপানবাসী।
বুধবারই দায়িত্ব নিয়েছেন ৪১ বছরের মাসানোবু ওগুরা। রাজনীতিতে আসার আগে কাজ করতে ব্যাংক অফ জাপানে। সমাজ সম্পর্কে বেশ ভাবেন। এই যেমন গত মাসেই এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছিলেন, শিশু জন্মের সংখ্যা কমার জন্য দায়ী পুরুষশাসিত বিশ্বের উদাসীনতা আর অজ্ঞতা। কারণ, বিশ্ববাসী বুঝতে পারছে না যে শিশুর জন্মের সংখ্যা কম হলে, তার গুরুতর প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ থেকে অতিখারাপ হয়ে ওঠে। এইভাবে তো কেউ ভাবে না। এই চিন্তা করে ওগুরার কথায় বেশ খুশিই হয়েছিলেন জাপানবাসী। কিন্তু, তিনি যে গর্ভবতী নারীর সমস্যা বোঝার জন্য 'গর্ভাবস্থার পেট' বানানোরও চেষ্টা করতে পারেন, এতটা তাঁরা ভাবতেও পারেননি।
তাঁর আগে যিনি শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন, তাঁর নাম সেইকো নোদা। একসন্তানের জননী, প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তাঁকে সরিয়েই নবীন প্রজন্মের ঘাড়ে শিশুর সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য মন্ত্রকের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। কিন্তু, নতুন মন্ত্রীর কাণ্ড-কারখানা দেখে কিশিদাও এখন বেজায় ফাঁপড়ে। যেন ভাবছেন, 'হায় রে! কাকে দিলাম রাজার পাট।'
আরও পড়ুন- ক্রিমিয়ায় বিস্ফোরণে চাপানউতোর রাশিয়া-ইউক্রেনের, উপগ্রহ চিত্র জানাল প্রকৃত সত্যিটা কী
তবে, এখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, ওগুরা এই গর্ভবতীর মত পেট তৈরির চিন্তা কোনও নতুন না। এর আগেও তিনি এমন চিন্তা করেছিলেন। বিবাহিত এই মন্ত্রী সন্তানহীন। গত বছর এপ্রিলে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির যুবদের আয়োজিত এক প্রকল্পেও তিনি গর্ভবতীর মত পেট তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। যদিও পুরুষ বিজ্ঞানসম্মত কারণেই গর্ভবতী হতে পারে না। তবুও নতুন মন্ত্রীর কাণ্ড-কারখানায় বেশ মজাই পেয়েছেন জাপানবাসী।
Read full story in English