প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। রবিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। গত ছয় বছর ধরেই কোমায় ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার অন্যতম এই সদস্য।
২০১৪ সালের অগাস্টে নিজের বাড়িতেই পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারায় বর্ষীয়ান নেতা যশবন্ত সিং। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তিনি গভীর কোমায় আচ্ছন্ন হন। পরে তাঁর শারিরীক অবস্থার বদল সম্ভব হয়নি। রবিবার সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে মোদী লিখেছেন, 'যশবন্ত সিংজি দেশ ও জাতির অনেক সেবা করেছেন। প্রথমে একজন জওয়ান হিসেবে ও তারপরে রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজের কাজ করেছেন তিনি। অটলজির আমলে অর্থ, প্রতিরক্ষা ও বিদেশমন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে যশবন্ত সিংজির। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত।'
Jaswant Singh Ji served our nation diligently, first as a soldier and later during his long association with politics. During Atal Ji’s Government, he handled crucial portfolios and left a strong mark in the worlds of finance, defence and external affairs. Saddened by his demise.
— Narendra Modi (@narendramodi) September 27, 2020
টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনি জানিয়েছেন, 'বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিংজির মৃত্যুতে গভীর শোকাহত। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দেশের অনেক কাজ করেছেন তিনি। একজন গুরুত্ত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও সাংসদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।'
Shri Jaswant Singh ji would be remembered for his intellectual capabilities and stellar record in service to the nation. He also played a key role in strengthening the BJP in Rajasthan. Condolences to his family and supporters in this sad hour. Om Shanti.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) September 27, 2020
জাতীয় রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদীর উত্থানের সময় অবশ্য যশবন্ত সিংয়ের সঙ্গে দলের সম্পর্ক মধুর ছিল না। টিকিট না মেলায় ২০১৪ সালের লোকসভায় রাজস্থানের বারমের থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী কর্নেল সোনা রামের কাছে।
যশবন্ত সিং তাঁর লেখা 'ইন্ডিয়া, পার্টিশন, ইন্ডিপেন্ডেনস' বইতে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার প্রশংসা করেছিলেন। এই কারণে ২০০৯ সালে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করে বিজেপি।
সেনাবাহিনীতে চাকরিজীবন শেষে তিনি রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। দীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় সাংসদীয় রাজনীতিতে দেখা গিয়েছে বিজেপির এই প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে। বাজপপেয়ী আমলের শুরু থেকেই কেন্দ্রের নানা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত বিদেশ মন্ত্রক, ২০০০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষা ও ২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন যশবন্ত সিং।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন