চিকিৎসার গাফিলতিতেই কি মৃত্যু হয়েছিল জয়ললিতার? না কি তাঁর মৃত্যুর পিছনে ছিল অন্য কোনও রাজনীতি? আম্মার মৃত্যুর দু'বছর পেরিয়ে গেলেও প্রশ্নরা থেকে গেছে তাদের জায়গাতেই। আর সেই সব প্রশ্নেই এবার দাঁড়ি টানলো সুপ্রিম কোর্ট। অ্যাপোলো হাসপাতালের দায়ের করা একটি মামলা প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং সঞ্জীব খান্নার বিচারাধীন বেঞ্চ।
২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যু হয়ে এআইডিএমকের সুপ্রিমো তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম জয়ললিতার। দীর্ঘ অসুস্থতার জেরে মারা যান তিনি, তেমনটাই দাবি করে চেন্নাইয়ের হাসপাতালটি। কিন্তু গোলযোগের সূত্রপাত সেখান থেকেই। জয়ললিতার চিকিৎসায় গাফিলতি এবং অস্বাভাবিকত্ব রয়েছে বলে মনে করে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে জয়ললিতার মৃত্যুতে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে তামিলনাড়ু সরকার। জীবনের শেষ কয়েকটি দিন ওই হাসপাতালে কী অবস্থায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তা জানতে চেয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকদের সমন পাঠায় আদালত। তার বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন দায়ের করে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষ। গত ৪ এপ্রিল হাসপাতালের আবেদন খারিজ করে দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদনেই এবার নেমে আসল স্থগিতাদেশ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জয়ললিতার মৃত্যু কেন্দ্রিক তদন্ত করতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ অরুমুগাস্বামীর নেতৃত্বে কমিশন গঠন করে তামিলনাডুর তদানীন্তন এআইএডিএমকে সরকার। তাদের দাবি ছিল মৃত্যুর আগের ৭৫ দিন ধরে হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা হয়নি এআইডিএমকের সুপ্রিমোর। সেই দাবিতেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ অরুমুগাস্বামী কমিশন একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করেন।
আরও পড়ুন মোদীর বায়োপিক মুক্তির আবেদনে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ বহাল
সুপ্রিম কোর্টে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল, স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও তদন্ত কমিশনকে চিকিৎসা ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা ঠিক হয়েছে না ভুল, তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমিশনকে, যা অসাংবিধানিক। এই যুক্তির প্রেক্ষিতেই শুক্রবার কমিশনের কাজকর্ম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
Read the full story in English