দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত মজবুত রাখতে এখন প্রায় কথা হবে ইন্দো-চিনের। কোন পদক্ষেপে সমস্যার সমাধান? সে বিষয়েও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করবে নয়াদিল্লি এবং বেজিং। চিনা বিদেশ মন্ত্রক জারি করা বিবৃতিতে এমন কথাই বলা হয়েছে। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা হয় চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র। যদিও ভারতীয় তরফে পৃথকভাবে জারি করা বিবৃতিতে বলা, 'দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ধাপে ধাপে এগোবে ইন্দো-চিন কূটনৈতিক সম্পর্ক।'
সেই বিবৃতিতে বলা, সামরিক সম্ভার সরানো এবং সীমান্ত উত্তেজনা কমানো এই দুই বিষয় এলএসি বরাবর শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখবে।
তবে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুতের ক্ষেত্রে যাতে সীমান্ত সমস্যা বাধা না হয়। সীমান্ত উত্তেজনা সমাধানে যেমন দুই দেশ উদ্যোগ দেবে, তেমন ভাবেই কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রসারে কাজ করবে ইন্দো-চিন। এমনটাই জানিয়েছে চিনা বিদেশ মন্ত্রক।
এদিকে, দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে। সম্প্রতি চিনা সেনার সঙ্গে ১৬ ঘন্টার ম্যারথন বৈঠকে এই দাবি জানিয়েছে ভারত। প্যাংগং হ্রদ থেকে উভয় দেশের সেনা সরেছে। তারপরই দেপসাং থেকে চিনা বাহিনীকে সরাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত।
লাদাখের দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা খালি করতে শনিবার সকাল ১০টা থেকে ভারত-চিন সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়। তাতে ভারতের তরফে নেতৃত্ব দেন লেহ্-র ২৪ কর্পস-এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিজিকে মেনন। চিনের তরফে ছিলেন দক্ষিণ শিনজিয়াং প্রদেশের কম্যান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন।