বন্যা বিপর্যস্ত বিহার। মৃত্য হয়েছে ৭২ জনের। এই পরিস্থিতির জন্য নিতিশ কুমার প্রশাসনকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। বিহারবাসীর কাছে রাজ্য সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। যা নিয়ে বিজেপি মন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর এনডিএ জোট সঙ্গী নিতিশের দল জেডিইউ।
বিহারের বেগুসরাই থেকে নির্বাচিত কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, 'অতিবৃষ্টির সময় সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ব্যাস, তাতেই দায়িত্ব শেষ। কেন তার আগে সর্তকামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল না।' তাঁর সংযোজন, 'এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বিহার প্রশাসন। তাদের অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত।' কার্যত একই কায়দায় নিতিশ কুমার সরকারের সমালোচনায় মুখর বিজেপি সাংসদ রামকৃপাল যাদব। পাটলিপুত্র যখন জলের তলায় তখন প্রশাসনিক আধিকারিকরা নিশ্ক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে ইসলামাবাদে চিনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে বিতর্ক, কড়া জবাব ভারতের
জেডিইউ মুখপাত্র সঞ্জয় সিংয়ের দাবি, 'গিরিরাজ সিং চাইলেও নিতিশ কুমারের পায়ের যোগ্য হতে পারবেন না। মহাদেবের নাম বার বার উচ্চারন করলেই কেউ মন্ত্রী হওয়ার যোগ্য হন না।' দলের অন্য মুখপাত্র, রাজীব রঞ্জন প্রসাদ এই বন্যার জন্য উল্টে বিজেপিকেই দায়ী করেন। তাঁর মতে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে বিজেপি মন্ত্রী, পাটনার মেয়র গেরুয়া শিবিরের। এমনকি সেখানকার দুই সাংসদও বিজেপির। ১৯৯০ থেকেই ওই সব অঞ্চলে বিজেপি শক্তিশালী। তাঁপর প্রশ্ন, তাহলে এতদিন তাঁরা কি করছিলেন।
প্রথমে আরজেডির সঙ্গে জোট বেঁধে বিহারে সরকার গঠন করে নিতিশের জেডিইউ। পরে, সেই জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে তারা। তবে, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই শরিক বিজেপি ও জেডিউইয়ের বিবাদ লক্ষ্য করা যায়। দ্বিতীয়, মোদী মন্ত্রিসভায় পছন্দসই মন্ত্রীত্ব মেলেনি জেডিইউর। সে থেকেই তিক্ততা তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: ভুয়ো নথি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিমান ওড়ানোর চেষ্টা, ইস্তফা দিলেন অভিযুক্ত বিএসএফ উইং কমান্ডার
জেডিইউ-এর সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী দিল্লিতে বলেন, 'বাজে কথা বলা অভ্যাসে পরিণত করেছেন গিরিরাজ। তেজস্বি যাদবের থেকেও বিজেপির সঙ্গে জেডুইউ জোটের উনিই ক্ষতি করছেন।' তবে, গিরিরাজ সিংয়ের মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী আরজেডি।
বিজেপি জেডিইউ ফাটল ক্রমশ বাড়চ্ছে। পরিস্থিতি মেরামতিতে এগিয়ে এসেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র নিখিল আনন্দ। তিনি বলেন, 'আমাদের জোট নিয়ে অন্যদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই। কেউ কেউ অসন্তোষের কারণেই মিডিয়ার সামনে মুখ খুলছে। কিন্তু, আমরা দেখছি বন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখ্যমন্ত্রী ও উফ-মুখ্যমন্ত্রী তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন।'
Read the full story in English