Advertisment

ঝাড়খণ্ডে হারতে চলেছে বিজেপি, বলছে প্রায় সবকটি বুথ ফেরত সমীক্ষা

এবার ভোটে ভাল ফল করবে জেএমএম-কংগ্রেস ও আরজেডি জোট। ইন্ডিয়া টুডে-এ্যক্সিস ভোট সমীক্ষার পূর্বাভাস, সরকার গড়ার কাছাকাছি আসন পেতে পারে বিরোধী জোট। অন্যদিকে, আইএএনএস-এবিপি'র সমীক্ষা জানাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা এবার ত্রিশঙ্কু হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদী

ঝাড়খণ্ডে এবার হয়তো বিরোধী আসনেই বসতে হতে পারে বিজেপিকে। বিভিন্ন সংস্থার করা বুথ ফেরত সমীক্ষার এমনই ইঙ্গিত। সমীক্ষায় প্রকাশ, এবার ভোটে ভাল ফল করবে জেএমএম-কংগ্রেস ও আরজেডি জোট। ইন্ডিয়া টুডে-এ্যক্সিস ভোট সমীক্ষার পূর্বাভাস, সরকার গড়ার কাছাকাছি আসন পেতে পারে বিরোধী জোট। অন্যদিকে, আইএএনএস-এবিপি'র সমীক্ষা জানাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা এবার ত্রিশঙ্কু হবে।

Advertisment

আরও পড়ুন: আগুনে প্রতিবাদ, বেসুরো শরিক, দেশজুড়ে এনআরসি নিয়ে পিছু হঠার ইঙ্গিত মোদী সরকারের

ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ৮১। সরকার গড়তে ম্যাজিক ফিগার ৪১। ইন্ডিয়া টুডে-এ্যক্সিস ভোট সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট ৩৮-৫০ আসন পেয়ে সরকার গঠন করবে। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ২২ থেকে ৩৮ আসন। বিজেপির একদা জোট সঙ্গী থাকলেও এবারের ভোটে একাই লড়েছে এজেএসইউ। তারা পেতে পারে ৩-৫ আসন। ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (প্রজাতান্ত্রিক) বা জেবিএম(পি) পেতে পারে ২ থেকে ৪ আসন।

আইএএনএস-এবিপি'র সমীক্ষার পূর্বাভাস, বিজেপি পেতে পারে ২৮-৩৬ আসন। জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট গতবারের তুলনায় ভাল ফল করবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও এই জোট ৩১ থেকে ৩৯ আসন জিততে পারে। অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এজেএসইউ) এবং জেভিএম(পি) পাবে যথাক্রমে ৫ ও ৩ আসন। এই সমীক্ষার ফলাফল মিললে সরকার গড়তে নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছে এজেএসইউ ও জেভিএম(পি)।

publive-image অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস

স্থানীয় বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যম নিউজ ১১ এর সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বিজেপি পেতে পারে ৩০-৩৫ আসন। শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্তের নেতৃত্বাধীন জেএমএম-এর ঝুলিতে যেতে পারে ১৭ থেকে ২২ আসন। কংগ্রেসের ৯-১২ জন প্রার্থী জয় পেতে পারেন। ৮-১২ আসনে জয় পেতে পারে এজেএসইউ। অন্যদিকে জেভিএম(পি) পেতে পারে ৪ থেকে ৬ আসন। সমীক্ষার পূর্বাভাস ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

২০১৪ সালের বিধানসভা ভোটে গেরুয়া শিবির জিতেছিল ৩৭ আসন। পাঁচ আসনে জেতা এজেএসইউ-এর সমর্থনে সরকার গঠন করে। পরে ৬ বিধায়কের দল বাবুলাল মারান্ডির জেভিএম(পি) শাসক শিবিরের জোটে যোগ দেয়। কংগ্রেস ও জেএমএম জিতেছিল যথাক্রমে ৬ ও ১৭ আসনে।

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইন বিক্ষোভ: সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় ধৈর্য হারালে গোধরা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, হুমকি বিজেপি মন্ত্রীর

ভোটের আগেই অবশ্য এই ইঙ্গিত ছিল। ঝাড়খণ্ডে এবার বিজেপির মাথা ব্যথ্যার কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছিল প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষাগুলো। জাত-পাতের রাজনীতির জেরে আদিবাসী ও জনজাতি মহলে মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের গ্রহণযোগ্যতা প্রায় তলানিতে। বিজেপির খারাপ ফলের কারণ হিসাবে এই বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়েছিল। ফলে ঝাড়খণ্ডের মসনদ ধরে রাখতে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে গিয়েছেন। তবে, কংগ্রেস বা জেএমএম জোটের মত স্থানীয় ইস্যুকে প্রচারে তেমন গুরুত্ব দেননি তারা। উল্টে, ৩৭০ ধারা বিলোপ, রাম মন্দির, তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী আইনকেই প্রচারে পুঁজি করেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু, তাতেও কী চিঁড়ে ভিজবে? বুথ ফেরথ সমীক্ষা অন্তত হতাশ করছে পদ্ম শিবিরকে।

আগামী সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ পাবে।

Read the full story in English

CONGRESS jharkhand bjp
Advertisment