ক্ষতিকারক উপকরণ পাওয়া গেল জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার তৈরি বেবি শ্যাম্পুর নমুনায়। রাজস্থানের রাজ্য ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের রিপোর্ট পেয়ে নড়চড়ে বসল কেন্দ্র। যদিও বেবি শ্যাম্পু প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যে।
সম্প্রতি জনসন অ্যান্ড জনসন -এর 'নো মোর টিয়ার্স' বেবি শ্যাম্পুর দুটি ব্যাচের পণ্য সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছে রাজস্থান প্রশাসন। অভিযোগ, ক্ষতিকর রাসায়নিক ফরমালডিহাইডের উপস্থিতির কারণেই এই পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
মাস কয়েক আগেই এই সংস্থার বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস থাকার অভিযোগ ওঠে। নিজেদের সংস্থার তৈরি সদ্যজাতদের গায়ে মাখার পাউডারের অ্যাসবেস্টস রয়েছে, এ কথা প্রথম থেকেই জানত বিশ্বের জনপ্রিয়তম শিশু পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। নিজেদের কাছে এই তথ্য থাকা সত্ত্বেও বারবার তা অস্বীকার করে গিয়েছেন সংস্থার শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা। সম্প্রতি রয়টার্স-এর একটি রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন, দু’ঘণ্টায় পরপর ন’টি ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
সংস্থার মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "রিপোর্ট বলছে নমুনায় ফরম্যালডিহাইড পাওয়া গিয়েছে, যা কারসিনোজেনিক অর্থাৎ মানবদেহে ক্যানসার দানা বাঁধতে পারে, এরকম উপকরণ রয়েছে। আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট গ্রহণ করিনি"। তিনি আরও জানিয়েছেন, "আমাদের পণ্য খুবই নিরাপদ। শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরা সতর্কতা নিয়ে থাকি"।
হিসেব অনুযায়ী, পরীক্ষিত ওই দুটি ব্যাচের প্রতিটিতে ৫০,০০০ বোতল শ্যাম্পু রয়েছে। পণ্যটি হিমাচল প্রদেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের কারখানায় তৈরি করা হয়েছে।
সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, "কেন্দ্রকে আমরা জানিয়েছি পণ্যে ফরম্যালডিহাইড মেশানো হয়নি"। রাজস্থান ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (আরডিসিও) এর কাছ থেকে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি।
অন্যদিকে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে রয়টার্সের রিপোর্ট কে 'মিথ্যে এবং অতিরঞ্জিত' বলা হয়েছে।
Read the full story in English