Advertisment

ভোটের মুখে অশান্ত ভূ-স্বর্গ, হত ২, আতঙ্কে মনোনয়ন প্রত্যাহার

শুক্রবার সকালে শ্রীনগরে ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের দুই কর্মীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ভূ-স্বর্গে। যে ঘটনার জেরে কমপক্ষে ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
jammu kashmir, জম্মুকাশ্মীর

নিহত নাজির আহমেদের শেষকৃত্যে খুদের কান্না। ছবি: শোয়েব মাসুদি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ভোটের মুখে নতুন করে অশান্তি ছড়াল জম্মু-কাশ্মীরে। শুক্রবার সকালে শ্রীনগরে ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের দুই কর্মীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ভূ-স্বর্গে। সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হামলাতেই ওই দুই রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের আরেক কর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর। যে ঘটনার জেরে কমপক্ষে ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। শ্রীনগরে মোট ২৩টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকেই সেখানে চার দফায় শুরু হচ্ছে পুর ভোট।

Advertisment

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের দুই কর্মী। নিহত কর্মীরা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ওইদিন সন্ধ্যায় উত্তর কাশ্মীরের হাজিনের এক প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালায় কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। ওই প্রার্থীর বাড়িতে কিছু জিনিস ছোড়া হয়। যার জেরে ওই প্রার্থীর বাড়িতে কিছু পোশাক পুড়ে গিয়েছে। যদিও হামলার সময় ওই প্রার্থী বাড়িতে ছিলেন না।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ, বাইকে করে দু’জন এসে ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের তিন কর্মীর উপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। ওই হামলায় দুই কর্মী নাজির আহমেদ ও মুস্তাক আহমেদের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের ব্লক প্রেসিডেন্ট শাকিল আহমেদ জখম হন। শাকিলের মাংসের দোকানে ওই কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন হামলার সময়। শাকিলের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যে, শাকিলের হাতে গুলি লাগে। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার পরেই তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে নাজির ও মুস্তাককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন, জম্মু-কাশ্মীর পুরভোট: প্রার্থীদের নামই গোপন রাখা হচ্ছে নিরাপত্তার স্বার্থে

ডালগেট ওয়ার্ডের প্রার্থী মুজামিল জান এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান যে, তিনি ভয়ে নির্বাচনে লড়ছেন না। তিনি বলেন, "এ ঘটনার পর আমার বয়স্ক শাশুড়ি মা খুব ভীত। আমরাও ভাবছি যে, একটা দলের কর্মীরা, যাঁরা ভোটে লড়ছেন না, তাঁরা যদি খুন হতে পারেন, তবে একজন নির্দল প্রার্থী হিসেবে আমি কতখানি সমর্থন পাব?"

এ হামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত ডিজিপি মুনির আহমেদ খান। এ ঘটনায় সরব হয়ে টুইট করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ওমর আবদুল্লা। ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের আরেক নেতা তনবীর সাদিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "আমাদের দল ভোট বয়কট করেছে, তবুও আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আমরা মর্মাহত।" এদিনের হামলার নিন্দায় সরব হয়েছে পিডিপি ও জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি।

jammu and kashmir national news
Advertisment