সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জঙ্গির বাড়ি। জানা গিয়েছে পুলওয়ামায় সরকারি জমি দখল করে তৈরি বাড়ি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। সন্ত্রাসবাদী আশিক নেংরুর বাড়িতে এদিন অভিযান চালানো হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই-জানিয়েছে, পুলওয়ামা জেলার নিউ কলোনি, রাজপোরায় প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সন্ত্রাসবাদকে শিকড় থেকে নির্মূল করতেই এই ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।
পুলওয়ামার রাজপোরার নিউ কলোনিতে সরকারি জমি দখল করে তৈরি আশিক নেংরুর বাড়ি ভেঙে দেয় জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। সন্ত্রাসবাদীদের কড়া বার্তা দিতেই সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এটাই প্রথমবার, যেখানে জম্মু-কাশ্মীরে কোন জঙ্গির বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। রাজপোড়ায় জঙ্গি আশিক নেংরুর দোতলা বাড়ি বুলডোজার দিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে হাজির ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুসারে আশিক নেংরু বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছেন এবং তিনি কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই মহম্মদের সক্রিয় সদস্য।জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত আশিক। এর আগে, ২০১৪ সালের আশিকের ভাই আব্বাসকে এনকাউন্টার করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। এ ছাড়া তার আরেক ভাই রিয়াজ বর্তমানে জেলবন্দী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: < ৫ বছর পর আজ প্রাথমিকের টেট, কঠিন পরীক্ষায় রাজ্যও, নজিরবিহীন সুরক্ষার বন্দোবস্ত >
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অধীনে 'সন্ত্রা্সবাদী' তালিকায় থাকা জয়শ-ই-মহম্মদ কমান্ডার আশিক নেংরুকে জঙ্গি হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের নিরাপত্তার সংক্রান্ত বিষয়কে নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসবাদকে উৎখাত করতে আশিক নেংরুকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত উপত্যকায় ১৭৬ জন সন্ত্রাসবাদীকে এনকাউন্টার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছেন ৫০ বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। একই সময়ে, ১২৬ জন স্থানীয় জঙ্গিকেও খতম করেছে পুলিশ। জম্মু ও কাশ্মীর স্বরাষ্ট্র দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে, ৫ আগস্ট, ২০১৯ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ এর মধ্যে, সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে ১৭৬ জন সেনাও শহীদ হয়েছেন, যেখানে ৫ আগস্ট, ২০১৬ থেকে ৫ আগস্ট, ২০১৯ পর্যন্ত ২৯০ জন সেনা শহীদ হয়েছিলেন।