আজ থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আপাতত সরকারি সব দফতর, হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক,পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে চালু হল পরিষেবা। আপাতত ২জি পরিষেবা ফেরানো হয়েছে। তবে এখনই শোসাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবেন না উপত্যকাবাসী। সাধারণ কাশ্মীরিদের জন্য ব্রডব্যান্ড পরিষেবা কবে থেক চালু হবে? প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী ২৬ জানুয়ারির পর এই বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
Advertisment
প্রশাসনের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং যে সংস্থাগুলি সরকারি পরিষেবা দেয়, তাঁরা এখন থেকে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পাবে। প্রাথমিকভাবে শ্রীনগর-সহ মধ্য কাশ্মীরে দেওয়া হবে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। ধীরে ধীরে উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোড়া, বারামুলা কুপওয়াড়া, ও দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা, কুলগাঁও এবং সোপিয়ানে স্বাভাবিক হবে ইন্টারনেট পরিষেবা। পর্যটন শিল্প পুনরূদ্ধারের লক্ষ্যে হোটেলগুলিতেও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করা হচ্ছে।
তবে, এই ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ব্যবহার করা যাবে শুধুমাত্র একটি ঠিকানা থেকেই। নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইটই দেখা যাবে। গোয়েন্দা রিপোর্টে হামলার হুমকি থাকা সত্ত্বেও জরুরি পরিষেবাগুলিতে ইন্টারনেট চালু করা হল। বুধবার বিজ্ঞপ্তিতে সাক্ষর করেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সালিন কাবরা।
গত ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয় কাশ্মীরকে। ইন্টারনেট পরিষেবার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে উপত্যকা। কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন উপত্যকার সংবাদপত্র ‘কাশ্মীর টাইমস’-এর এগজিকিউটিভ সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন এবং কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ। কেন্দ্রের ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেন তাঁরা। ১০ জানুয়ারি ছিল সেই মামলার শুনানি। কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত জানায়, অনির্দিষ্ট কালের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখা যায় না। যা হচ্ছে তা ক্ষমতার অপব্যবহার। ইন্টারনেট-সহ উপত্যকার উপর বসানো সমস্ত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশাসনকে এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যালোচনার নির্দেশও দেয় আদালত। তার পরেই কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।