কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা পুনর্বহাল করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল জম্মু-কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্স। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বদলে কাশ্মীরকে ফের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে বলে দাবি এই রাজনৈতিক দলের। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে পিপলস কনফারেন্স ভূস্বর্গের নাগরিকদের অধিকার খর্ব করার অভিযোগ এনেছে। এই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, জাতীয় পতাকা তিনি হাতে তুলবেন না বলে মন্তব্য় করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন মেহবুবা মুফতি। বিতর্কের পর পিডিপি নেত্রী সোমবার বলেন, তেরঙ্গা ও পূর্বতন রাজ্য় জম্মু-কাশ্মীরের পতাকা একসঙ্গে হাতে তুলে নেবেন। একজন বিধায়ক হিসেবে জম্মু-কাশ্মীর সংবিধান ও ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি তাঁর আস্থা রয়েছে বলেও মন্তব্য় করেছেন মেহবুবা।
আরও পড়ুন ‘তেরঙ্গা ও জম্মু-কাশ্মীরের পতাকা একসঙ্গে হাতে ধরব’, বিতর্কের পর মন্তব্য় মেহবুবার
এ প্রসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘যখন প্রথমবার বিধায়ক হই, তখন জম্মু-কাশ্মীর সংবিধানে শপথ নিয়েছিলাম। জম্মু-কাশ্মীর সংবিধান ও ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার প্রতি আমার আস্থা অটুট রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের পতাকা ও ভারতের জাতীয় পতাকা, দুটোই একসঙ্গে আমি ধরব’’। মুফতির এই বয়ানের পর পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের এই মামলা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান এবং পৃথা শ্রীকুমার মামলা দায়ের করেছেন পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে।
তাঁদের বক্তব্য, কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা তুলে নিয়ে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত সরাসরি নাগরিকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। তবে কোভিডের কারণে আদৌ দ্রুত শুনানি হবে কি না তা বলা যাচ্ছে না। ডোমিসাইল অধিকার এবং নয়া জমি আইনের জেরে সাধারণ বাসিন্দার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে উপত্যকায়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন