নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শনিবার সকালে জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় মৃত্যু হয়েছে অন্ততপক্ষে চারজন জঙ্গির। জঙ্গি মৃত্যুকে ঘিরে উত্তজনা ছড়াতেই ফের অশান্তি শুরু হয় উপত্যকায়। অশান্তির জেরে জখম হয়েছেন ১৬ জন অসামরিক ব্যক্তি। বিগত ২৪ ঘণ্টায় এটি ছিল দ্বিতীয় সংঘর্ষ। এখনও পর্যন্ত নিহত জঙ্গিদের শনাক্ত করা যায়নি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজপোড়ায় কিছু জঙ্গির উপস্থিতি সম্পর্কে খবর রয়েছে। সেখানেই তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, হঞ্জনে দু'পক্ষের মধ্যে স্বল্প সময়ের গোলাগুলি বিনিময় হয়েছে।
শুক্রবার সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয় এক লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গি মাস পাঁচেক আগে ওই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছিল। নিহত জঙ্গিকে শনাক্ত করে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম ইশফাক ইউসুফ ওয়ানি।
শুক্রবার সন্ধেতে ইউসুফের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তার নিজের গ্রাম কলিতে।
দিন দুয়েক ধরে সেনাবাহিনী এবং জঙ্গি, দু'পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে হুরিয়ত সভাপতি মিরওয়েজ উমর ফারুক বলেন এই হাড় হিম করা শীতে তল্লাশি অভিযান বন্ধ করা উচিত অবিলম্বে। শুক্রবারের জামিয়া মসজিদের জমায়েতে তিনি বলেন , "মাইনাস ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তল্লাশি অভিযান চালানোর মতো নির্দেশ দেওয়া উচিত হয়নি ভারত সরকারের"।
দিন সাতেক আগে কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল একই এলাকায়। নিহতদের মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিন-এর শীর্ষ কম্যান্ডার এবং আনসার গাজওয়াত উল হিন্দের শীর্ষস্থানীয় জাকির মুসাও ছিল। মাস খানেক আগে অনন্তনাগ জেলার বিজবেহরার সেকিপোরা এলাকায় গুলিযুদ্ধে ৬ জঙ্গির মৃত্যু হয়।
Read the full story in English