ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা (জম্মু কাশ্মীর কে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া অনুচ্ছেদ) রদ হওয়ার পর থেকেই রীতিমত থমথমে উপত্যকা। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে গোটা অঞ্চলে। বন্ধ নেট পরিষেবা। উপত্যকার সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। তবেঁ আজ শুক্রবারের প্রার্থনার জন্য কিছুটা আলগা হবে নিরাপত্তার বেড়াজাল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানালেন জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপালের মুখ্য পরামর্শদাতা কে বিজয় কুমার।
কী বললেন প্রাক্তন সিআরপিএফ প্রধান বিজয় কুমার? পাঠকদের জন্য তুলে দেওয়া হল সাক্ষাৎকারের অংশ বিশেষ।
প্রশ্ন- বিগত পাঁচ দিনে উপত্যকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার কড়াকড়িতে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করছে না?
উঃ- সাঙ্ঘাতিক প্রতিবাদ হয়নি। শ্রীনগর শহরে পাথর ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সহমর্মিতার সঙ্গে বিষয়টিকে দেখার জন্য।
আরও পড়ুন, ‘কাশ্মীরের মানুষ বেছে নিতে পারবেন বিধানসভা, বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রী’
প্রশ্ন- জুম্মাবারের নমাজ আর সোমবারের ঈদের কথা মাথায় রেখে উপত্যকায় নিয়ন্ত্রিত গতিবিধির নির্দেশ কিছুটা শিথিল হবে?
উঃ শুক্রবারের প্রার্থনার জন্য ইতিমধ্যে কড়াকড়ি আলগা করা হয়েছে। ঈদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী রবিবার। অঞ্চলের আইন শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেটা মাথায় রেখে ঈদ উদযাপনের জন্য উৎসাহ দেওয়া হবে কাশ্মীরবাসীকে।
প্রশ্ন- উপত্যকায় চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা তৈরি হলে সাধারণ মানুষ কী করবে? অ্যাম্বুলেন্স অথবা ডাক্তারকে খবর দেবে কী ভাবে?
উঃ সমস্ত জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সবরকম সাহায্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দরকার পড়লে সেনাবাহিনী নিজেদের যানে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন, এমন ঘটনা নজিরবিহীন নয়।
প্রশ্ন- জম্মু কাশ্মীরের এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে অঞ্চলভিত্তিক অনুমতি লাগছে?
উঃ অঞ্চলভিত্তিক অনুমতি নয়, বিশেষ দরকার থাকলে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে আপাতত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, কাশ্মীরবাসীর নিয়ন্ত্রিত গতিবিধি তুলে স্বাভাবিক অবস্থা তুলে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
Read the full interview in English