রাজস্থানের চিতোরগড় পুলিশ জম্মু ও কাশ্মীরের মেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের(Mewar University) এক ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিফার্মের ছাত্র সোহরাব কাইয়ুম, তার ইনস্টাগ্রামে আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে ২৫ জানুয়ারি আইপিসি একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। কাইয়ুম বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় ওই ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর হরিশ গুরনানি বলেছেন, কাইয়ুমের বিরুদ্ধে "শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করা হয়েছে" এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (জেকেএসএ) কাইয়ুমের কর্মকাণ্ডের "তীব্র নিন্দা" করেছে । এক বিবৃতিতে, জেকেএসএ জাতীয় আহ্বায়ক নাসির খুয়েহামি বলেছেন, “এই ধরনের আচরণ কেবল অগ্রহণযোগ্যই নয় বরং আমাদের বৈচিত্র্যময় ও গণতান্ত্রিক দেশে সহাবস্থানের নীতিকেও ক্ষুন্ন করে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি তার একাডেমিক এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনার জন্য মারাত্মক পরিণতি হতে পারে"। অ্যাসোসিয়েশন দ্ব্যর্থহীনভাবে ছাত্রের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে পাশাপাশি সমস্ত কাশ্মীরি ছাত্রদের সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজক বিষয়বস্তু লেখা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মাকে চিঠিতে, খুয়েহামি অনুরোধ করেছেন কাইয়ুমের মামলাটি "মানবিক ভিত্তিতে বিবেচনা করা হোক।" কাইয়ুমের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানালেও অ্যাসোসিয়েশন জোর দিয়েছে যে একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং সভ্য সমাজে এই ধরনের আচরণের কোনো স্থান নেই। তবে ভবিষ্যতের দিন বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।