বছর শুরুতেই ‘টার্গেট কিলিং-এর ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ছয় জন। রাজৌরির ডাংরি গ্রামে ভয়াবহ হামলা হয়। আচমকা হানা দেয় ২ বন্দুকবাজ। গ্রামের তিনটি বাড়িতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে তারা। প্রথমে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। পরে রাজৌরির মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাণ হারান আরও ২ গ্রামবাসী।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সফরকালেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বিরাট সাফল্য। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ডাংরি গ্রামে ভয়াবহ হামলার নেপথ্যে থাকা মাস্টারমাইন্ডের। সন্দেহভাজন জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে এমনই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
'অপারেশন ত্রিনেত্র' চলাকালীন কান্দি এলাকার কেসারি পাহাড়ে ভোরবেলা জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় বিস্ফোরণে একজন মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা আহত হন। এই একই ঘটনায় শহীদ হন আরও ৫ সেনা জওয়ান। শুক্রবারের সেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (পিএএফএফ)। এদিকে শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং একটি সেনা ঘাঁটি পরিদর্শন করেন পাশাপাশি সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন।
শুক্রবারের ঘটনার বদলা নিতে গোটা এলাকা ঘিরে রেখে তল্লাশি অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। এই সময় বন্দুকযুদ্ধে এক জঙ্গি নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হন। সেনাবাহিনীর পিআরও লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দর আনন্দ বলেছেন নিহত জঙ্গির কাছ থেকে একটি AK-56 রাইফেল, চারটি ম্যাগাজিন, ৫৬রাউণ্ড গুলি, একটি ৯ এম এম পিস্তল, এর তিনটি ম্যাগাজিন এবং তিনটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১৮ মাসে, জঙ্গিরা রাজৌরি এবং পুঞ্চের সীমান্ত জেলায় আটটি হামলায় ২৬ জন সেনা সহ ৩৫ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে। কান্দি জঙ্গলে পাঁচ জওয়ানের প্রাণহানির ঘটনাটি এ বছরের তৃতীয় বড় ঘটনা। পুঞ্চে একটি সেনা ট্রাকে অতর্কিত হামলার পরে বাহিনী গত ১৫ দিন ধরে জঙ্গিদের খোঁজে চালাচ্ছে চিরুনি তল্লাশি।