Champai Soren: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) প্রধান হেমন্ত সোরেনকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এক জমির মালিকানা সংক্রান্ত মামলায় ইডি সাত ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরে হেমন্তকে গ্রেফতার করল। এর আগেই অবশ্য তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাঁর অনুগত এবং রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। এমনটাই জানিয়েছে ক্ষমতাসীন জোট।
হেমন্ত সোরেন ইডি হেফাজতে থাকাকালীনই রাজ্যপালের সাথে দেখা করেন এবং পদত্যাগপত্র জমা দেন। ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের সভাপতি রাজেশ ঠাকুর বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চম্পাই সোরেনকে আইনসভা দলের নতুন নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। সমস্ত বিধায়ক আমাদের সঙ্গে আছেন।' ঝাড়খণ্ডে বর্তমানে জেএমএম এবং কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায়।
বুধবার বিকাল ৫টা ৩০-এর পর থেকে হেমন্ত সোরেনের পদত্যাগ এবং গ্রেফতারি নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। দুটি মিনি-বাসকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের ভিতরে যেতে দেখা যায়। আধঘণ্টা পরে মুখ্যসচিব এল খিয়ানগেট ও ডিজিপি অজয়কুমার সিংও হেমন্ত সোরেনের বাসভবনে আসেন।
সোরেন এবং তদন্তকারী সংস্থার মধ্যে এই নাটকের মধ্যেই, ইডি হেমন্তর দিল্লির বাসভবনে তল্লাশি করতে শুরু করে। হেমন্ত তাঁর দলকে জানিয়েছেন, ইডি তাঁর ভাবমূর্তি 'খারাপ' করার জন্য চাপ দিয়েছে।
এর আগে বুধবার, ঝাড়খণ্ড পুলিশ হেমন্ত সোরেনের বাসভবনে তল্লাশির ব্যাপারে সোরেনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এসসি/এসটি আইনের অধীনে ঊর্ধ্বতন ইডি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।
ইডি একটি তহবিল তছরুপ মামলায় সোরেনের কাছে সমন পাঠিয়েছে। কিন্তু, তিনি বারবার তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজির হতে অস্বীকার করেছেন।
তাঁকে এ পর্যন্ত তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে: প্রথমটি ২০২১ সালের নভেম্বরে ইডির অবৈধ খনি মামলায়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সমন - যথাক্রমে ২০ এবং ৩১ জানুয়ারি, রাঁচিতে জমি বেআইনিভাবে বিক্রয় এবং ক্রয় থেকে হওয়া আয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত মামলায় পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় আইএএস অফিসার ছাভি রঞ্জনও একজন অভিযুক্ত।
পুলিশের কাছে হেমন্ত সোরেন অভিযোগ করেছিলেন যে ইডি তাঁর দিল্লির বাসভবনে 'তাঁকে এবং সমগ্র আদিবাসী সম্প্রদায়কে হয়রানি ও অপমান করা'র জন্য তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। সোরেন তাঁর অভিযোগে লিখেছেন যে ইডি আধিকারিকরা একটি চমক দিতে চাইছেন। যাতে, সাধারণ জনগণের চোখে তাঁকে অসম্মানিত করা যায়। এই জন্যই তথাকথিত অনুসন্ধানের নাটক বলেও হেমন্ত সোরেন মিডিয়ার কাছে দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন- এশিয়া ক্রিকেটের ‘ডন’ ফের জয় শাহ, বিরাট ঘোষণায় গর্বিত ভারতীয় ক্রিকেট
হেমন্ত তাঁর দিল্লির বাসভবন থেকে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি এবং নগদ বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে ইডির দাবির বিষয়েও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, 'আমি BMW গাড়ির মালিক নই। আমি কোনও অবৈধ নগদ টাকার মালিকও নই। ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে জনসমক্ষে অপমান করার' জন্য এসব বলা এবং করা হচ্ছে।