দেশ জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে নয়া ভ্যারিয়েন্ট JN.1 । অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশ সংক্রমণযোগ্য। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তবে এটি গুরুতর সংক্রমণ ঘটাচ্ছে না এমনটাই জানিয়েছেন এইমসের প্রাক্তন ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
তিনি আরও বলেন, যে নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্টটি আরও প্রভাবশালী হয়ে উঠছে। "এটি আরও সংক্রমণযোগ্য, দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, এটি ধীরে ধীরে একটি শক্তিশালী রূপ নেওয়ার চেষ্টা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ইউরোপ সহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতেও তার প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি'। পাশাপাশি তিনি বলেন, ডেটা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে নতুন রূপটি গুরুতর সংক্রমণ এবং হাসপাতালে ভর্তির জন্য সেভাবে দায়ি নয়। অধিকাংশ আক্রান্ত বাড়িতেই সুস্থ হয়ে উঠছেন'।
উপসর্গ এবং প্রতিরোধ
সুস্থ থাকার উপায় এবং নতুন উপ-ভেরিয়েন্ট ধরা রোধ করার উপায় সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, ডাঃ গুলেরিয়া এই সময় সকলকে কোভিড-বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "নিয়মিত আপনার হাত ধুয়ে নিন। প্রকাশ্যে হাঁচি-কাশি এড়িয়ে চলুন। যাতে সংক্রমণ ছড়াতে না পারেন। জ্বর, কাশি এবং সর্দি থাকলে অবশ্যই ভিড় এড়িয়ে চলুন"। তিনি ডায়াবেটিস এবং কোমরবিডিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের মাস্ক পরার ওপর জোর দেন। উপসর্গগুলি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে গুলেরিয়া বলেন, "বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মূলত জ্বর, কাশি, সর্দি, গলাব্যথা, নাক বন্ধ ও শরীরে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।"
ভারতে নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্ট
ভারতে, JN.1-এর প্রথম সংক্রমণ ঘটে কেরলে। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র অনুসারে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে JN.1-এর ২২ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি গোয়ায়। কেরল এবং মহারাষ্ট্রে একটি করে কেস রিপোর্ট করা হয়েছে।