বর্ধিত হস্টেল ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিল জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদ। তার পরিপ্রেক্ষিতেই শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনকে নোটিস দিল আদালত। এদিন আদালত জানিয়েছে, 'নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য যেসব পড়ুয়া এখনও নাম নথিভুক্ত করেননি তারা পুরনো ম্যানুয়ালেই তা করতে পারবেন।'
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই বর্ধিত ফি এবং হস্টেলের নতুন নিয়মবিধির বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন জেএনইউএসইউ-য়ের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের করা আর্জিতে ওই নিয়মবিধিকে 'বেআইনি, অযৌক্তিক, প্রতারণামূলক এবং পড়ুয়াদের স্বার্থের পরিপন্থী' বলে দাবি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার-হল প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে জেএনইউয়ের তিন অফিস কর্মীও। এই ফি বৃদ্ধি জেএনইউএসের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালতে ঐশী, চ্যালেঞ্জ হস্টেলের ফি বৃদ্ধিকে
যদিও শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কের ওই দিনই জানিয়েছিলেন যে, 'ফি নিয়ে পড়ুয়াদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে উপাচার্যকে সরানোর দাবি যুক্তিযুক্ত নয়। কারোর অপসারণে কোন সমস্যার সমাধান নয়।' জেএনইউএসইউয়ের তরফে আইনজীবী অভীক চিমনি ও আমন শুক্লার আবেদনে বলা হয়েছে, হস্টেল ফি বৃদ্ধির ফলে পড়ুয়াদের উপর তার বিরূপ প্রভাব পড়বে। চরম অসুবিধার মুখে পড়বে দুস্থ পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য গত তিন ধরে জেএনইউয়ের হস্টেল ফি প্রতিবাদে আন্দোল করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। ছবি: তাশি তোবজিয়াল
জেএনইউয়ের নতুন হস্টেল নিয়ম অনুশারে, প্রতি মাসে পড়ুয়াদের ১৭০০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। সিঙ্গল রুমের ভাড়া ২০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ করা হয়। এছাড়া ডবল রুমের ভাড়া ১০ থেকে বেড়ে হয় ৩০০। যা ঘিরে প্রবল প্রতিবাদ শুরু করে জেএনইউএসইউ। পরে পড়ুয়াদের আন্দোলনে পিছু হঠে সরকার। মাসিক সার্ভিস চার্জ প্রত্যাহার করা হয়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পোখরিয়াল গত ১৪ জানুয়ারি জানান, দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থানকারী পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে হস্টেল ফির ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।
Read the full story in English