Advertisment

জেএনইউতে পড়বেন সেখানকারই নিরাপত্তারক্ষী

রামজল এদিন জানান, জেএনইউ-এর পরিবেশ তাঁকে পড়াশোনায় উৎসাহ দিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জেএনইউ-এর সেই নিরাপত্তারক্ষী

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) এক নিরাপত্তারক্ষী এবার সেখানেই রুশ ভাষায় গ্র্যাজুয়েশন করবেন। রামজল মীনা নামে রাজস্থানের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ইতিমধ্যেই জেএনইউ-এর প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে রাস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মীনা বিএ পাশ করেছিলেন।

Advertisment

জেএনইউতে পড়ার সুযোগ পাওয়ার পর তিন সন্তানের বাবা ওই নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসতে চান। রামজল ২০১৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছেন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, "আমি শিখতে চাই। পড়তে চাই। যতদূর সম্ভব পড়াশোনা করার পর আমি চাই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সফল হতে।"

মীনা বলেন, "রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি বিএসসি পড়তে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু পারিবারিক অবস্থার জন্য পড়াশোনা ছেড়ে উপার্জন শুরু করতে হয়েছিল। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা ছাড়লেও আমি পড়া বন্ধ করিনি। যা পেতাম, তাই পড়তাম আমি। খবরের কাগজ, চাকরির পরীক্ষার বইপত্র- সব পড়তাম। বিভিন্ন সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতাম। চাকরি খুঁজতে খুঁজতে আমি নিরাপত্তারক্ষীর কাজ পেয়ে যাই। সেই সময় মাইনে পেতাম মাসে ৩০০০ টাকা। বেশ কয়েকবছর ওই চাকরি করার পর ২০০৬ সালে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের ভর্তি হই। এবার বিএ কোর্সে। জেএনইউতে চাকরি করার ফাঁকেই আমি বিএ পাশ করি।"

আরও পড়ুন, ‘ইসলাম ধর্মে পুরুষেরা ৫০ জন নারী রাখতে পারেন’, মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের

জেএনইউ-এর প্রবেশিকায় গোটা দেশের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী অংশ নেন। এহেন কঠিন পরীক্ষার প্রস্তুতি তিনি কীভাবে নিতেন? মীনা জানান, নিয়মিত খবরকাগজ এবং চাকরির পরীক্ষার বইপত্র পড়ার পাশাপাশি তিনি ফোনে এই সংক্রান্ত নানাবিধ ভিডিও দেখতেন। তাঁর কথায়, "যদি ১৫ মিনিটও ফাঁকা সময় পেতাম, তা পড়াশোনায় ব্যয় করতাম।"

রামজল এদিন জানান, জেএনইউ-এর পরিবেশ তাঁকে পড়াশোনায় উৎসাহ দিয়েছে। তাঁর কথায়, এখানে সর্বক্ষণ সবাই বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে কথা বলে। জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক সমস্যাগুলি আলোচিত হয়। এই পরিবেশ পড়াশোনার জন্য খুবই উপযোগী। তিনি জানান, তিন মেয়েকেই সরকারি স্কুলে ভর্তি করেছেন। তারা পরীক্ষায় ভাল ফলও করেছে।

তবে পড়াশোনার জন্য রামজল চাকরি ছাড়তে পারবেন না। তিনি বলেন, "আমাকে গোটা পরিবারের খরচ চালাতে হয়। পাশাপাশি বাবা-মায়ের সংসারকেও সাহায্য করতে হয়। তাৈই চাকরি ছাড়া আমার পক্ষে অসম্ভব। আশা করি কর্তৃপক্ষ আমাকে নাইট শিফটে ক্লাস করার অনুমতি দেবেন।" যদিও, এখনও পর্যন্ত জেএনইউতে নাইট শিফটে পড়াশোনার সুযোগ নেই।

Read the full story in English

JNU
Advertisment