দিল্লি সরকারের কাছ থেকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যের নামে চার্জশিট পেশ করার অনুমতি জোগাড় করতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। বুধবার দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে নিম্ন আদালতকে। আদালতের কাছে আরও কিছু দিন সময় চেয়েছে পুলিশ।
আদালত থেকে জানানো হয়েছে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ফাইল নিয়ে বসে থাকা যাবে না। দিল্লি সরকারকে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য তাড়া দিয়েছে আদালত। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কানহাইয়া এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের অনুমতি আদায় করতে হবে দিল্লি পুলিশকে।
আদালতের পক্ষ থেকে ১৯ জানু দিল্লি পুলিশকে প্রশ্ন করা হয়, “আপনাদের কাছে আইন বিভাগের ছাড়পত্র নেই, কীভাবে চার্জশিট পেশ করলেন”? আদালতের প্রশ্নের জবাবে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে ছাড়পত্র জোগাড় করবে পুলিশ।
জেএনইউ ছাত্র সংগঠনের নেতা কানহাইয়া কুমার সহ বাকি দুই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলার চার্জশিট খতিয়ে দেখার জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিল আদালত। চার্জশিটে বলা হয়েছে ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দেশদ্রোহী স্লোগান তুলে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কানহাইয়া। সংসদ হামলার গুরুচক্রী আফজল গুরুর ফাঁসির দিনটিকে মনে রেখেই ওইদিনের মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন, আদালত ঘরে ফেরাচ্ছে শবরীমালায় প্রবেশ করা কনকদুর্গাকে
জেএনইউ কাণ্ড নিয়ে দিল্লি সরকারের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর অনুযায়ী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে জেএনইউ কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশাবলী নিয়ে সরকারের মধ্যেই সংশয় রয়েছে। সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতর বিষয়টি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেতে দ্বারস্থ হচ্ছে আইন দফতরের কাছে।
দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে কানহাইয়া, উমরদের দেশদ্রোহীতার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ছ’টি ভিডিও ফুটেজ। যেগুলির প্রতিটি জেএনইউ-এর দক্ষিণপন্থী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র প্রাক্তন অথবা বর্তমান সদস্যদের মোবাইলে তোলা। এ ছাড়া জি নিউজের ভিডিও ফুটেজও প্রমাণ স্বরূপ আদালতকে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, হায়দ্রাবাদের দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই জেএনইউ ক্যাম্পাসের সেদিনের অনুষ্ঠান ঘিরে পরিকল্পিতভাবে বিতর্ক বাঁধানো হয়েছিল, দিন দুয়েক আগে এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন দুই প্রাক্তন এবিভিপি সদস্য। যতীন গোরাইয়া ও প্রদীপ নরওয়াল নামে জেএনইউ-এর দুই প্রাক্তনীর আরও দাবি, একটি সংবাদ চ্যানেলের যে ভিডিওতে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান শোনা গিয়েছে, সেখানে এবিভিপি সদস্যরাই ছিলেন।