জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরা ইউনিভার্সিটির বায়োমেট্রিক সিস্টেম ও সার্ভার রুমের সিসিটিভি ভাঙচুর করেছে। এক আরটিআইয়ের উত্তরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ই জানাল, ৩ জানুয়ারি সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, এবং পরদিন তা কাজ করেনি "বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা থাকায়"।
Advertisment
আরটিআইয়ের উত্তরে আরও জানানো হয়েছে, ৫ জানুয়ারি জেএনইউ ক্যাম্পাসের নর্থ বা মেন গেটে লাগানো সিসিটিভির "সম্পূর্ণ অবিচ্ছিন্ন" ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই দিন মুখোশধারী কিছু ব্যক্তি লোহার রড ও পাথর ভাঙা হাতুড়ি নিয়ে ছাত্রশিক্ষকদের উপর হামলা করে।
আরটিআইয়ের উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, "জেএনইউয়ের মেন সার্ভার ৩ জানুয়ারি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পরদিন তা কাজ করেনি বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন থাকার জন্য।"
আরটিআইয়ের উত্তরে জানানো হয়েছে মোট ১৭টি ফাইবার অপটিক্যাল কেবল ৪ জানুয়ারি দুপুর ১টায় নষ্ট করা হয়। বলা হয়েছে, "কোনও বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ২০২০-র ৮ জানুয়ারির মধ্যে ভাঙা বা ধ্বংস করা হয়নি।"
আরটিআই করে এও জানতে চাওয়া হয়েছিল যে সিআইএস দফতরে যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো সিসিটিভি তার সার্ভার রয়েছে কিনা। এর উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরার সার্ভার ডেটা সেন্টারে রয়েছে, সিআইএস অফিসে নয়।
একটি এফআইআরে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিল, ৩ জানুয়ারি একদল ছাত্র মুখোশ পরে জোর করে সিআইএস-এ ঢুকে পড়ে এবং বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে সার্ভার অকেজো করে দেয়, যার ফলে সিসিটিভি নজরদারি, বায়োমেট্রিক হাজিরা ও ইন্টারনেট পরিষেবার মতন কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এমনকী জেএনইউ উপাচার্য জগদেশ কুমার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, "বিক্ষোভকারীরা মুখোশ পরে প্রথম এসেছিল ৩ জানুয়ারি। ইউনিভার্সিটির ডেটা সেন্টারে হামলা করেছিল তারা। আমরা যখন ডেটা সেন্টার ফের কার্যকর করে তিলি, তার পর, ৪ জানুয়ারি ফের একদল ছাত্র ডেটা সেন্টারে ঢুকে তাকে অকেজো করে দেওয়ার চেষ্টা করে। ৫ তারিখে ফের একই ঘটনা ঘটে।"
উপাচার্য জগদেশ কুমারের সাক্ষাৎকার সম্পূর্ণ পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে