জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা উমর খালিদের উপর হামলার ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল রাজধানীতে। সোমবার রফি মার্গে কনস্টিটিউশন ক্লাবের সামনে উমর খালিদকে লক্ষ করে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। যদিও এ ঘটনায় খালিদ বা অন্য কেউ আঘাত পাননি।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জেএনইউ-এর ছাত্রনেতা বলেন, ‘‘দেশজুড়ে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই শাসানি দেওয়া হচ্ছে।’’
জেএনইউ ছাত্রনেতা উমর খালিদ। ছবি: রেণুকা পুরী, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে উমর খালিদ জানিয়েছেন,‘‘কনস্টিটিউশন ক্লাবের বাইরে একটা চায়ের দোকানে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে চা খাচ্ছিলাম। সে সময়ে একজন ভারী চেহারার লোক পিছন থেকে এসে আমার ঘাড় ধরে। লোকটার হাতে বন্দুক দেখতে পয়ে আমি তার হাত ধরার চেষ্টা করি, লোকটা আমাকে গুলি করার চেষ্টা করছে দেখে আমি ভয় পেয়েছিলাম। এরপর সে আমায় গায়ের জোরে মাটিতে ফেলে দিয়ে আমায় মারে। এই দেখে যখন আমরা বন্ধুরা যখন পাল্টা মার দিতে এগিয়ে আসে তখন লোকটা বন্দুক ছুড়ে ফেলে পালিয়ে যায়। আমি দূর থেকে গুলির আওয়াজ শুনতে পেয়েছি। ওই বন্দুক থেকে যে গুলি ছোড়া হয়েছিল, সে আমি নিশ্চিত।’’ দিল্লি পুলিশের ডিসিপি মধুর ভার্মা সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, খালিদের অভিযোগ যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
ওই চায়ের দোকানে উমরের সঙ্গে ছিলেন আশিস পাণ্ডে। তিনি জানান,‘‘তিন বন্ধুর সঙ্গে চা খাচ্ছিল খালিদ। ওরা গেটের কাছে গেলে, সেখানে খালিদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় ওই লোকটির। দুই বন্ধু ওদের থামানোর চেষ্টা করছিল। হঠাৎ সাহায্যের জন্য এক বন্ধু চিৎকার করে। এরপরই হামলাকারী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।’’ আশিস পাণ্ডে আরও বলেন যে, ‘‘হয়তো ভুলবশত ওই বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে যায়।’’
আরও পড়ুন, ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগাযোগ: হায়দরাবাদে ধৃত ২
‘খাফ সে আজাদি’ নামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে এসেছিলেন পড়ুয়ারা। যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ‘ইউনাইটেড এগেনস্ট হেট’ নামের একটি সংস্থা। জেএনইউ-এর ছাত্রনেতার উপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে টুইট করেন জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সহ-সভাপতি শেহলা রশিদ। উমরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি।