'জেএনইউতে ফি বৃদ্ধি ইস্যু মিটেছে, উপাচার্যের অপসারণের দাবি অযৌক্তিক'

মন্ত্রীর সাফ কথা, 'কারোর অপসারণ কোন সমস্যার সমাধান নয়।'

মন্ত্রীর সাফ কথা, 'কারোর অপসারণ কোন সমস্যার সমাধান নয়।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

উপাচার্য এম জগদেশ কুমার

'জেএনইউয়ের উপাচার্যের অপসারণের দাবি যুক্তিযুক্ত নয়। হস্টেলে ফি বৃদ্ধির সমস্যার নিষ্পত্তি হয়েছে। তাই এবার উপাচার্যের অপসারণের দাবি থেকে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সরে আসা উচিত', মঙ্গলবার এই মন্তব্যই করেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক।

Advertisment

গত ৫ই জানুয়ারি মুখশধারীদের হাতে আক্রন্ত হন জেএনইউয়ের আন্দোলকারী পড়ুয়ারা। বিশেষ করে তারপর থেকেই উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে অনড় বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। উপাচার্যকে অপসারণের দাবি যুক্তিযুক্ত নয় বলে এদিন স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'পড়ুয়াদের মূল দাবি ছিল হস্টেলের ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে। সেই দাবির সমাধান করা হয়েছে। এখন উপাচার্যকে অপসারণের দাবি যুক্তিযুক্ত নয়। কারোর অপসারণ কোন সমস্যার সমাধান নয়।'

আরও পড়ুন: বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরাই আগে মুখোশ পরে এসেছিল: জেএনইউ উপাচার্য জগদেশ কুমার

মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কেকর সংযোজন, 'জেএনইউয়ের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। শীতকালীন সেমিস্টারে পরীক্ষার দেওয়ার জন্য ৮০ শতাংশের বেশি পড়ুয়া নাম নথিুক্ত করেছন। যাঁরা পড়তে চান তাদের বাধা দেওয়া উচিত নয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য পেতে হলে এইসব বিষয়ের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।'

Advertisment

publive-image মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার দেশের পড়ুয়ারা। দেশজুড়ে জারি রয়েছে তাদের সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ। ডিসেম্বরেই সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয় জেএনইউ। এদিন এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নিশাঙ্ক বলেন, নাগরিকত্ব আিনের মাধ্যমে কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। মন্ত্রী বলেন, 'সিএএ নিয়ে যারা বিভ্রান্ত করছে ও রাজনীতির চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে মানুষকে বোঝানোর দায়িত্ব নিতে হবে পড়ুয়াদেরই।'

Read the full story in English

JNU