ঘটনার দু'দিন পর জেএনইউকাণ্ডে মুখ খুললেন উপাচার্য এন জগদেশ কুমার। রবিবার পড়ুয়াদের উপর হামলাকে 'দুর্ভগ্যজনক' দাবি করে নতুন করে সব শুরু করার আর্জি জানান তিনি। এদিকে, রবিবার রাতের হামলার তদন্তে এদিন জেএনইউতে আসেন দিল্লি পুলিশের ফরেন্সিক দলের সদস্যরা। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে, মুখোশধারীদের মুখোশ দ্রুত খোলা হবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
এফআইআর দায়ের হল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে। দিল্লি পুলিশ এই মামলা রুজু করেছে। ক্যাম্পাসে সার্ভার রুমে ভাঙচুর ও নিরাপত্তা রক্ষীদের আক্রমণের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত রবিবার রাতে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রবেশ করে মুখোশধারীদের তিন ঘণ্টার তাণ্ডবে রক্তাক্ত হয় ক্যাম্পাস। তবে কারা এই মুখোশধারী? প্রত্যক্ষদর্শী এবং আহতদের অভিযোগ বহিরাগতরা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্য। ওই হামলায় জখম হন ঐশী। এইমস-এ ভর্তি করা হলে মাথায় সেলাই পড়ে তাঁর। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন জেএনইউএসইউ-এর নেত্রী ঐশী। মারাত্মক অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, 'আরএসএস ঘনিষ্ঠ অধ্যাপকরাই রবিবার রাতে পড়ুয়াদের উপর হামলা চালাতে মদত যুগিয়েছিল।' পড়ুয়াদের সংঘবদ্ধ আন্দোলনকে ভাঙতেই এই চক্রান্ত বলে জানান ঐশী। আন্দোলন, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাক দেন বাম ছাত্র রাজনীতির নেত্রী। তাদের দিকে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে জেএনইউকাণ্ডের প্রতিবাদে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে আজাদ ময়দানে সরিয়ে দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের। এরপর 'ওকুপাই গেটওয়ে' আন্দোলন বন্ধের কথা ঘোষণা করা হয়। পর্যটকদের নিরাপত্তার কারণে সেখান থেকে আন্দোলন স্থানান্তরের কথা বলে পুলিশ। বুধবারের ভারত বনধে বিক্ষোভকারীরা শামিল হবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে, ঘটনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জেএনইউ কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। পুলিশে অভিযোগ ও অভিযুক্ত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার মাধ্যমে অবস্থা সামাল দিতে নির্দেশ দিয়েছিল মন্ত্রক। তাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু রয়েছে তা তুলে ধরা।
Read the full story in English
Live Blog
জেএনইউ সংক্রান্ত যাবতীয় খবরের জন্য চোখ রাখুন এখানে। Follow the Live Updates here...
আজ সকালে, ৫০ থেকে ১০০ বিক্ষোভকারীদের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে আজাদ ময়দানে স্থানান্তরিত করা হয়। আন্দোলনকারীরা জানান, এদিন পুলিশ গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। উল্টে জোর করেই আজাদ ময়দানে পাঠিয়ে দেওয়া হয। এরপরই 'ওকুপাই গেটওয়ে' আন্দোলন বন্ধের কথা ঘোষণা করা হয়। এই আন্দোলন সফল হয়েছে বলেও দাবি করে পড়ুয়ারা। তাদের আরও কর্মসূচি রয়েছে বলেও জানানো হয়।
জেএনইউ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাতেই নিন্দায় সরব গোটা দেশ। আলিগড় থেকে পুনের ফিল্ম ইন্সটিটিউট, মুম্বাই থেকে কলকাতা, জেএনইউএর তাণ্ডবের প্রতিবাদে সোচ্চার দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও। জেএনইউয়ের পাশে থাকতে সোমবার মহানগরের রাস্তায় মিছিল করে কলকাতা, যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
জেএনইউতে সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাতদের মিছিল আটকাল পুলিশ। দেখুন ভিডিও...
রবিবারের ভয়ঙ্কর হামলার প্রতিবাদে এদিন জেএনইউ-এর ক্যাম্পাসের মধ্যেই বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা। প্রকাশ কারাত, সীতারাম ইয়েচুরির নেতৃত্বে হয় মিছিল। জেএনিউয়ের পুরনো ক্যাম্পাস থেকে উত্তর গেট পর্যন্ত মিছিল যায়।তারপরই প্রাক্তনীদের এই মিছিলকে আটকায় পুলিশ। আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জেএনইউকাণ্ডের প্রতিবাদ। সোমবারের পর মঙ্গলবারও কলকাতায় পথে নেমে বিক্ষোভে শামিল হলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা। এদিন হাজরা থেকে মিছিল করে পড়ুয়ারা নিজাম প্যালেসে যায়।
ছবি: শশী ঘোষ
ঘটনার দু'দিন পর জেএনইউকাণ্ডে মুখ খুললেন উপাচার্য এম জগদেশ কুমার। রবিবার পড়ুয়াদের উপর হামলাকে 'দুর্ভগ্যজনক' দাবি করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আর্জি জানান তিনি। উপাচার্য বলেন, 'যেকোনও সমস্যা সমাধানের জন্য জেএনইউ ক্যাম্পাসের আলোচনা ও বিতর্ক বিখ্যাত। হিংসা দিয়ে কোনও সমস্যারই সমাধান হয় না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমাদের সব সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।' তাঁর কথায়, 'অতীতকে পিছনে ঠেলে নতুন করে সব শুরু করা যাক।'
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। জেএনইউ হামলায় যুক্ত মুখোশধারীদের মুখোশ খোলা হবে দ্রুত। মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি বলেন, 'মুখোশধারীদের মুখোশ খুললেই সব বিভ্রান্তি দূর হয়ে যাবে। জেএনইউ নিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গুজব রটিয়ে হিংসায় মদত দেওয়া হচ্ছে। এসবের পিছনে কারা রয়েছে তাও পরিষ্কার হয়ে যাবে।'
মুখোশধারীদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে জেএনইউ প্রাঙ্গন, প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। এই আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন অর্থনীতিবিদ তথা জেএনইউ অধ্যাপক সি পি চন্দ্রশেখর। ২৮ সদস্যকে নিয়ে নবনির্মিত পরিসংখ্যান কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা সোমবার জানিয়েছেন ওই অধ্যাপক। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই এই কমিটির বৈঠকে বসার কথা ছিল। তার আগের দিনই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সি পি চন্দ্রশেখর। উল্লেখ্য, গতমাসেই প্রাক্তন মুখ্য পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেনের নেতৃত্বে এই কমিটি গড়া হয়েছিল। বিস্তারিত পড়ুন...
রবিবার রাতে মুখোশধারীদের ভয়ঙ্কর তাণ্ডব চলে জেএনইউতে। জখম হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভানেত্রী সহ বেশ কয়েকজন। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। সোমবার বৈঠকে জেএনইউ কর্তৃপক্ষকে সেই অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। এক্ষেত্রে গত ১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় হামলার পর উপাচার্যের যে ভূমিকা ছিল তার প্রশংসা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিস্তারিত পডুন...
রবিবার রাতের হামলার তদন্তে জেএনইউতে এলেন দিল্লি পুলিশের ফরেন্সিক দলের সদস্যরা।
জেএনইউয়ের পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক। সেখান থেকে নতুন করে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ক্যাম্পাসের ভিতর ও বাইরে কড়া পুলিশি প্রহরা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার(দক্ষিণ-পশ্চিম) দেবেন্দ্র আর্য।
এফআইআর দায়ের হল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে। দিল্লি পুলিশ এই মামলা রুজু করেছে। ক্যাম্পাসে সার্ভার রুমে ভাঙচুর ও নিরাপত্তা রক্ষীদের আক্রমণের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত রবিবারই জেএনইউতে পড়ুয়াদের উপর হামলা চলে। তার শিকার ঐশী ঘোষ। তার মাথায় ১৬টি স্টিচ হয়।
সোমবার সন্ধ্য়ায় ক্যাম্পাসে ফিরে জেএনইউএসইউয়ের সভানেত্রী অভিযোগ করে বলেন, আরএসএস ঘনিষ্ঠ অধ্যাপকরাই রবিবার রাতে পড়ুয়াদের উপর হামলা চালাতে মদত যুগিয়েছিল। পড়ুয়াদের সংঘবদ্ধ আন্দোলনকে ভাঙতেই এই চক্রান্ত বলে জানান ঐশী। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের আঁতাঁত রয়েছে এদিন অভিযোগ করেন জেএনইউ ছাত্র সংসদের নেত্রী। পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করে ঐশী বলেন, ‘ক্যাম্পাসের মধ্যে পড়ুয়াদের উপর হামলা সত্ত্বেও পুলিশ হস্তক্ষেপ করেনি।’
রবিবার জেএনইউকাণ্ডের প্রেক্ষিতে কেন মুখ খুলছেন না প্রধানমন্ত্রী? মোদীকে নিশানা করে প্রশ্ন করলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। প্রধানমন্ত্রীর নীরবতাই অনেক কিছু বলে দিচ্ছে বলে জানান তিনি। ইয়েচুরির কথায়, 'মোদীর বাড়ির কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই হামলার শিকার পড়ুয়ারা। অথচ নীরব প্রধানমন্ত্রী। হয় বিষয়টি তিনি জটিল করার চেষ্টা করছেন অথবা বিষয়ে কিছু জানানোর ক্ষেত্রে তিনি অযোগ্য।'
আজাদ ময়দানে জেএনইউকাণ্ডের প্রতিবাদীরা। সেখানেই খানিক্ষণ চলে বিক্ষোভ-স্লোগান।