হস্টেলের ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে এবার দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করলেন জেএনইউএসইউ ঐশী ঘোষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার-হল প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে জেএনইউয়ের তিন অফিস কর্মীও। ছাত্র সংসদরে সঙ্গে আলোচনা ছাড়া 'বেআইনিভাবে' জেএনইউয়ের হস্টেল ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
হস্টেলে ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে বিশ্বাসঘাতকতা, এককেন্দ্রীক ও বেআইনি দাবি করে ছাত্র সংসদের তরফে বলা হয় পড়ুয়াদেরও উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। আবেদনে বলা হয়েছে, 'ফি বৃদ্ধি সহ হস্টেল ম্যানুয়ালের সংশোধনের সিদ্ধান্তের ফলে সংরক্ষিত ক্ষেত্রে ঘর বরাদ্দে সমস্য়া বাড়বে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ছাত্র সংসদরে প্রতিনিধিত্ব হ্রাস করা চেষ্টা হয়েছে।' এছাড়াও জেএনইউএসইউয়ের আবেদনে বলা হয়েছে, 'প্রতি শিক্ষা বর্ষেই হস্টেল ভাড়া থেকে শুরু করে সব ধরনের ভাড়া ১০ শতাংশ করে বাড়ন হবে।'
আরও পড়ুন: ‘জেএনইউতে ফি বৃদ্ধি ইস্যু মিটেছে, উপাচার্যের অপসারণের দাবি অযৌক্তিক’
জেএনইউয়ের নতুন হস্টেল নিয়ম অনুশারে, প্রতি মাসে পড়ুয়াদের ১৭০০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। সিঙ্গল রুমের ভাড়া ২০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ করা হয়। এছাড়া ডবল রুমের ভাড়া ১০ থেকে বেড়ে হয় ৩০০। যা ঘিরে প্রবল প্রতিবাদ শুরু করে জেএনইউএসইউ। পরে পড়ুয়াদের আন্দোলনে পিছু হঠে সরকার। মাসিক সার্ভিস চার্জ প্রত্যাহার করা হয়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পোখরিয়াল গত ১৪ জানুয়ারি জানান, দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থানকারী পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে হস্টেল ফির ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।
হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পড়ুয়ারা। গত ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে প্রবেশ করে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায় মুখোশধারীরা। মাথা ফেটে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ সহ ৩৬ জনের। এরপরই জেএনইউয়ের উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানায় বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল বলেন, 'পড়ুয়াদের মূল দাবি ছিল হস্টেলের ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে। সেই দাবির সমাধান করা হয়েছে। এখন উপাচার্যকে অপসারণের দাবি যুক্তিযুক্ত নয়। কারোর অপসারণ কোন সমস্যার সমাধান নয়।'
Read the full story in English