জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

কমিটির রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে "সার্জারির ব্যর্থতা রোগীকে অচল এবং ব্যথায় কাতর করে তুলেছে এবং রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে"

কমিটির রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে "সার্জারির ব্যর্থতা রোগীকে অচল এবং ব্যথায় কাতর করে তুলেছে এবং রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভুক্তভোগী

গুরুতর অভিযোগের আঙুল উঠল আন্তর্জাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের দিকে। তথ্য গোপনের অভিযোগ। অসফল হওয়া কোমর প্রতিস্থাপন সার্জারির ক্ষেত্রে তথ্য লুকিয়েছে এই সংস্থা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, 'দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে' জনসন অ্যান্ড জনসন রোগীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া তো দূরে থাক,  একদিকে যেমন অসফল সার্জারির কথা গোপন করেছে, অন্যদিকে রিভিশন সার্জারি সংক্রান্ত কোনও তথ্য তারা সরকারকে দেয়নি।

Advertisment

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে তৈরি করে দেওয়া বিশেষজ্ঞদের কমিটি তাদের রিপোর্টে এই কথা  জানিয়েছে। সরকারি রিপোর্ট বলছে দেশে এখনও পর্যন্ত কম করে ৩৬০০ মানুষের এই সার্জারি করেছে অভিযুক্ত সংস্থা। এর মধ্যে ৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন, আসানসোলের খুশির মৃত্যুতে জনস্বার্থ মামলা, মেলেনি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট

সরকারি কমিটির নেতৃত্বে থাকা চিকিৎসক অরুণ আগরওয়াল জানিয়েছেন, সার্জারি সফল হয়নি, এমন রোগীদের প্রত্যেককে ২০২৫ সালের আগে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য জনসন অ্যান্ড জনসন। কমিটির রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে "সার্জারির ব্যর্থতা রোগীকে অচল এবং ব্যথায় কাতর করে তুলেছে এবং রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে"। ভুক্তভোগীদের নিজেদের অভিজ্ঞতাও কমিটির রিপোর্টের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

Advertisment

কমিটির মূল অভিযোগের দিকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক এক নজরে

  • ভারতে যেসব রোগীর কোমর প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন, তাঁদের কোনও তথ্য সরকারকে দেওয়া হয়নি
  • কতজন রোগীর প্রথম সার্জারি ব্যর্থ হওয়ার পর রিভিশন সার্জারি করা হয়েছে, সে বিষয়ে চুপ অভিযুক্ত সংস্থা
  • জনসন অ্যান্ড জনসন-এর পক্ষ থেকে ১২ শতাংশ জানানো হলেও সরকার খতিয়ে দেখেছে রিভিশন সার্জারির হার আসলে অনেক বেশি, ৩৫ শতাংশের কাছাকাছি
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাধ্যতামূলক ক্ষতিপূরণের আয়োজন করলেও অভিযুক্ত সংস্থা ভারতের ক্ষেত্রে সেরকম কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।