নিজেদের সংস্থার তৈরি সদ্যজাতদের গায়ে মাখার পাউডারের অ্যাসবেস্টস রয়েছে, এ কথা প্রথম থেকেই জানত বিশ্বের জনপ্রিয়তম শিশু পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। নিজেদের কাছে এই তথ্য থাকা সত্ত্বেও বারবার তা অস্বীকার করে গিয়েছেন সংস্থার শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা। সম্প্রতি রয়টার্স-এর একটি রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসছে।
অ্যাসবেস্টস এমন এক যৌগ, যা জরায়ু-সহ অন্যান্য কয়েক ধরনের ক্যানসারের জন্য দায়ী। সাম্প্রতিক কালে সারা পৃথিবী থেকে জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার বিরুদ্ধে প্রায় ৯ হাজার অভিযোগ এসেছে। বেশ কিছু অভিযোগ নিয়ে মামলাও চলছে। এইরকম পরিস্থিতিতে রয়টার্স তদন্ত করেছে সংস্থার বেবি পাউডার নিয়ে। গত জুলাইতেই এক মামলায় হেরে গিয়ে সেন্ট লুইস আদালতের নির্দেশে ২২ জন মহিলা এবং তাঁদের পরিবারকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।
আরও পড়ুন: অক্সিটোসিন বিক্রিতে কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে
রয়টার্সের বিস্তারিত রিপোর্ট বলছে, ১৯৭১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বেশ কিছুবার পরীক্ষা করে যাচাই করা হয়েছে অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি। একাধিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফলাফল আসার পরেও সে তথ্য গোপন করেছে সংস্থা। শুধু তাই-ই নয়, প্রসাধনীতে অ্যাসবেস্টসের মাত্রা কমানোর ব্যাপারেও মার্কিন কর্তৃপক্ষকে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবিত করে আসছে জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থা।
এরপরেও সংস্থার তরফ থেকে প্রতিবারই একই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাদের বেবি পাউডার অ্যাসবেস্টস-মুক্ত। রয়টার্সের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে প্রসাধনী সংস্থার গ্লোবাল মিডিয়া রিলেশনস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আর্নি নিউইটজ বলেছেন, "মামলাকারীরা ব্যক্তিগত আর্থিক সুবিধা লাভের জন্য তথ্য বিকৃত করেছেন এবং আদালতকে এবং গণমাধ্যমকে ভুল বুঝিয়েছেন। একাধিক পরীক্ষায় জানা গিয়েছে আমাদের পাউডার অ্যাসবেস্টস-মুক্ত, সেই ফলাফলকে সুনিপুণ কৌশলে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে।"
Read the full story in English