আর বসবাসের যোগ্য নয় জোশীমঠ, ৬০টি পরিবারকে বের করে আনল প্রশাসন

উত্তরাখণ্ড এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা জোশীমঠে আছেন।

উত্তরাখণ্ড এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা জোশীমঠে আছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Joshimath

প্রকৃতির কোলে নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে দেবভূমির এই পাহাড়ি শহর।

জোশীমঠের সমস্যা নিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ধামিকে সম্ভাব্য সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, হিন্দুদের দীর্ঘদিনের তীর্থ জোশীমঠ আর বসবাসের যোগ্য নয়। সেখান থেকে ৬০টি পরিবারকে বের করে আনা হয়েছে। ওই সব পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়ার কথাও ভেবেছে সরকার। এনিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথাবার্তাও বলেছেন মোদী।

Advertisment

এই প্রসঙ্গে টুইটে ধামি লিখেছেন, 'জোশীমঠের পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করা হয়েছে। জোশীমঠের সঙ্গেই অন্যান্য পার্বত্য শহরগুলোর পরিস্থিতিও আমরা খতিয়ে দেখছি।' প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বৈঠকে তাঁর দফতরের প্রধান সচিব পিকে মিশ্র, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদ সচিব, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং উত্তরাখণ্ড সরকার অংশ নিয়েছিল।

যোশীমঠ এলাকায় ধস কোনও নতুন ঘটনা নয়। অতীতেও ধসের কারণে এখানকার বিভিন্ন অঞ্চলে ফাটল দেখা দিয়েছে। কিন্তু, এবারের প্রধান সমস্যা হল- এই শহর কার্যত বসে গিয়েছে। এখন গোটা শহরটা রয়েছে একটা আলগা মাটির ওপর। এই মাটি আবার ভূমিকম্পের ফলে তৈরি হওয়া ভূমিধসের কারণে জমা হয়েছে।

জাতীয় এবং উত্তরাখণ্ড বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অন্তত চারটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরাই জোশীমঠ এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সেক্রেটারি এবং ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির (এনডিএমএ) সদস্যরা সোমবার উত্তরাখণ্ডে যাবেন। তাঁরা গোটা পরিস্থিতির মূল্যায়ন করবেন।

Advertisment

আরও পড়ুন- এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীর শরীরে মূত্রত্যাগ, প্রায় দেড় মাস পর দুঃখপ্রকাশ টাটা সন্সের চেয়ারম্যানের

এনডিএমএ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, আইআইটি রুরকি, ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির বিশেষজ্ঞদের দল থাকবে যোশীমঠে। পাশাপাশি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজি এবং সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটও জোশীমঠের পরিস্থিতি বুঝে তা মোকাবিলার সুপারিশ করবে। রবিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পর্যালোচনায় উত্তরাখণ্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তারা ছাড়াও জোশীমঠের জেলা আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি শনিবারই জোশীমঠ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। পরিস্থিতির মূল্যায়ন করার জন্য তিনি গিয়েছিলেন জোশীমঠে। একদিন পরে তিনি প্রায় ৬০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। ধামী বলেন, 'জোশীমঠ সংস্কৃতি, ধর্ম ও পর্যটনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। যোশীমঠ বদ্রীনাথ, হেমকুন্ড সাহেবের মত বিখ্যাত তীর্থস্থান এবং আন্তর্জাতিক স্কিইংয়ের জন্য বিখ্যাত আউলির প্রবেশদ্বার। একে বাঁচাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে।

Read full story in English

Landslide Uttarakhand Modi Cabinet