উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠকে ভূমিধস প্রবণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শহরের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে বসবাসকারী ৬০টিরও বেশি পরিবারকে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে জোশীমঠ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ্য সচিব পি কে মিশ্র।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে একটি এনডিআরএফ এবং চারটি এসডিআরএফ দল জোশীমঠে উপস্থিত রয়েছেন। এর পাশাপাশি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার উত্তরাখণ্ডে যাবেন বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সচিব, এনডিএমএর সদস্যরা।
গাড়ওয়ালের কমিশনার সুশীল কুমার বলেছেন, স্থানীয় প্রশাসন শহরের চার-পাঁচটি জায়গায় ত্রাণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে এবং আরও অন্তত ৯০ টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এদিকে, চামোলি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিমাংশু খুরানা ইতিমধ্যে ক্ষয় ক্ষতির মূল্যায়ন করতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং যে সকল বাড়িতে ইতিমধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে সেই সকল বাড়ির আবাসিকদের অবিলম্বে ত্রাণ কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আবেদনও করেন।
গাড়ওয়াল কমিশনার সুশীল কুমার বলেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে জোশীমঠে ভূমিধস ধীরে ধীরে ঘটছে, তবে গত এক সপ্তাহে ভুমিধসের মারাত্মক প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। বাড়ি, মাঠ ও রাস্তাঘাটে বড় ফাটল দেখা যাচ্ছে। "গত সপ্তাহে শহরের নীচে জলের উৎস ফেটে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে," । সুশীল কুমার বলেন, বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়াই অগ্রাধিকার।
শনিবার জোশীমঠে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করার পর, মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ত্রাণ কার্য আরও দ্রুত করার আহ্বান জানান। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জোশীমঠের পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে ফোনে সিএম ধমির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভূমিধসে ক্ষতির পরিমাণ এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের জন্য এখন পর্যন্ত গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়েও তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন।